ঢাকা : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা ভূখণ্ডে ইসরায়েলের হামলা অব্যাহত রয়েছে। সর্বশেষ হামলায় আরও ৩৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। এই নিয়ে গাজায় নিহতের সংখ্যা প্রায় ৪৯ হাজার ৭৫০ জনে পৌঁছেছে।
অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে লেবাননেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী। এতে দেশটিতে আরও ৭ লেবানিজ নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অনেকে। এই হামলার ফলে সেখানে কার্যকর থাকা যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। আজ রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী, কথিত রকেট হামলার পর ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননে বোমা হামলা চালায়। এতে ৭ জন নিহত এবং আরও ৪০ জন আহত হয়েছেন। প্রাণঘাতী এই হামলা ও হতাহতের কারণে চার মাস আগে হিজবুল্লাহর সাথে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি হুমকির মুখে পড়েছে।
চার মাস আগে যুদ্ধবিরতির পর এটি লেবাননের ওপর ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা। ইসরায়েল দাবি করেছে, তারা টায়ার এবং তুলিনে হিজবুল্লাহকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, কারণ লেবানন থেকে ইসরায়েলি শহর মেটুলায় তিনটি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছিল। তবে এই হামলার দায় অস্বীকার করেছে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার ভোর থেকে ইসরায়েলি হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে। নিহতদের মধ্যে পাঁচটি শিশু রয়েছে, যারা গাজা সিটিতে হামলার শিকার হয়।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস ইসরায়েলি হামলায় মৃতের সংখ্যা আপডেট করে জানিয়েছে, অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডে এখন পর্যন্ত ৬১ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। কারণ, ধ্বংসস্তূপের নিচে নিখোঁজ থাকা হাজার হাজার ফিলিস্তিনিকে মৃত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলের পাশাপাশি মার্কিন বাহিনীও ইয়েমেনের ওপর হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইয়েমেনি গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হোদেইদা বিমানবন্দরে তিনটি এবং লোহিত সাগরের আল সালিফ বন্দরে আরও একটি হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, গাজার বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে এবং যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে ফিরে আসার আহ্বানে হাজার হাজার ইসরায়েলি তেল আবিবের রাস্তায় নেমে এসেছেন। একই সঙ্গে তারা গাজা ভূখণ্ডে আটক অবশিষ্ট বন্দিদের মুক্তি এবং বাড়িতে ফিরিয়ে আনার দাবিও জানাচ্ছেন।
ইসরায়েলি মিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, গত শুক্রবার থেকে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী গাজা, লেবানন এবং সিরিয়ায় ২০০টিরও বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গাজার মানবিক সংকট আরও গভীর হচ্ছে, তবে আন্তর্জাতিক মহল থেকে এখনও যুদ্ধবিরতির কার্যকর কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :