ঢাকা: মিয়ানমার-থাইল্যান্ডে শক্তিশালী ভূমিকম্পে নিহত হয়েছেন অন্ততপক্ষে ২৩ জন। এরমধ্যে মিয়ানমারে ২০ জন নিহত ও ২০০ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া প্রতিবেশী থাইল্যান্ডে নিহত হয়েছেন অন্তত তিনজন। থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩০ তলা একটি ভবন ধসে গেছে। ভবনে কর্মরত ৪৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএসের তথ্যমতে, স্থানীয় সময় আজ শুক্রবার ১২টা ৫০ মিনিটে মিয়ানমারের মধ্যাঞ্চলীয় শহর মান্দালয়ের কাছে ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল। প্রায় ১১ মিনিট পর ৬ দশমিক ৪ মাত্রার ভূমিকম্প-পরবর্তী কম্পন অনুভূত হয়। প্রতিবেশী বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ড, চীন ও ভিয়েতনামেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে।
৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পকে শক্তিশালী বলে ধরা হয়। এটার উৎপত্তিস্থল মাটির প্রায় ছয় মাইল গভীরে। কম গভীরতায় হওয়ায় কম্পন ভয়াবহভাবে অনুভূত হয়েছে।
ভূমিকম্পে মান্দালয়ে অনেক বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। বিপুলসংখ্যক আহত মানুষ হাসপাতালে ভিড় জমান। অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি অনেক মানুষ আতঙ্কে বের হয়ে আশপাশের গাড়ি রাখার স্থান ও সড়কে চলে যান।
৪৫ বছর বয়সী দাউ কি শোইন জানান, তার তিন বছর বয়সী মেয়ে নিহত হয়েছে। ভূমিকম্পের সময় তারা দুপুরের মধ্যাহ্নভোজ করছিলেন।
ভূমিকম্পে দাউ কি শোইনও আহত হন। হাসপাতালের সামনে যখন এই নারী কথা বলছিলেন, তখন তার শরীর থেকে রক্ত বের হচ্ছিল। তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্প শুরুর সঙ্গে সঙ্গে আমি দৌড়ে নিচতলায় চলে যাই। আমি আবার আমার মেয়েকে আনতে ভেতরে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন আমার ওপর ইট পড়ে।’
হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক ও সেবা নেই জানিয়ে দাউ কি শোইন বলেন, ‘আমি মারা যাচ্ছি। কিন্তু আমি মরতে চাই না। দয়া করে আমাদের সাহায্য করুন।’
মান্দালয় জেনারেল হাসপাতালের ডা. কিয়াও জিন বলেন, এখানে অন্তত ২০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন ২০০ জন।
মিয়ানমারের রাষ্ট্রয়াত্ত সংবাদমাধ্যম দ্য গ্লোবাল নিউ লাইটের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভূমিকম্পে ব্রিটিশ আমলে তৈরি সাগাইং সেতু ভেঙে গেছে। এটি মিয়ানমারের মান্দালয় ও সাগাইং অঞ্চলে ইরাবতী নদীর ওপর নির্মিত হয়েছিল। এ ছাড়া রাজধানী নেপিডোতে অনেক ভবন ধসে পড়েছে।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :