জেলেনস্কিকে বাদ দিয়ে ইউক্রেনে নতুন প্রশাসন চান পুতিন

  • আন্তর্জাতিক ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৫, ০১:৪৪ পিএম
জেলেনস্কিকে বাদ দিয়ে ইউক্রেনে নতুন প্রশাসন চান পুতিন

ঢাকা : রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে কোনো পক্ষই ছাড় দিতে রাজি নয়। মস্কো একের পর এক শর্ত দিয়ে যাচ্ছে, যার মধ্যে অন্যতম ইউক্রেনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে সরিয়ে একটি সাময়িক প্রশাসন গঠন করা।

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মতে, এই সাময়িক প্রশাসনের হাত ধরেই যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) রাশিয়ার মুরমানস্ক বন্দর পরিদর্শনের সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় পুতিন এ কথা বলেন। এ সময় তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশংসা করে বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের নতুনভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট বিভিন্ন কারণে এই সংঘাত সমাপ্তির বিষয়ে সচেতন।’

পুতিন আরও বলেন, ইউক্রেনে সাময়িক প্রশাসন ক্ষমতায় এলে নতুন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং যুদ্ধের অবসান ঘটবে। তবে রাশিয়া কোনোভাবেই তাদের কৌশলগত অবস্থান থেকে সরে আসবে না। সামরিক বাহিনী সম্মুখসারিতে কৌশলগতভাবে এগিয়ে রয়েছে।

তিন বছরের বেশি সময় ধরে চলমান এই যুদ্ধে ইউক্রেনে সামরিক শাসন জারি রয়েছে, ফলে দেশটিতে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। জেলেনস্কির মেয়াদ শেষ হলেও তিনি এখনো ক্ষমতায় বহাল। এ নিয়ে সম্প্রতি ট্রাম্প আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং সরাসরি তাকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান জানতে চাইলে হোয়াইট হাউস সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি। তবে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেন, ইউক্রেনের ক্ষমতায় কে থাকবে, তা দেশটির সংবিধানই নির্ধারণ করবে।

এদিকে, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সম্প্রতি রুশ বাহিনী কুরস্ক অঞ্চলের জোগোলেভকা গ্রাম মুক্ত করেছে। গত আগস্টে ইউক্রেন বাহিনী ওই অঞ্চলের বড় অংশ দখল করেছিল। তবে ধীরে ধীরে কুরস্কের নিয়ন্ত্রণ হারানোয় যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে কিয়েভের অবস্থান আরও দুর্বল হয়ে পড়েছে।

অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্ভাব্য খনিজ সম্পদ চুক্তির শর্ত চূড়ান্ত হয়নি। ইউক্রেনের উপপ্রধানমন্ত্রী উইলিয়া এসভিরিদেঙ্কো জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া চুক্তির খসড়া নিয়ে আলোচনা চলছে। এর আগে জনসমক্ষে আলোচনা ক্ষতিকর হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন জেলেনস্কির কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা মিখাইলো পোদোলিয়াক।

এমটিআই

Link copied!