অগ্নিঝরা মার্চ

জাতীয় দিবস প্রতিরোধ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৩, ২০১৯, ০২:১৪ পিএম
জাতীয় দিবস প্রতিরোধ

ঢাকা : একাত্তরের ২৩ মার্চ পাকিস্তানের জাতীয় দিবস প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে আওয়ামী লীগ। চলতে থাকে ফলাফলবিহীন আলোচনা। বাংলাদেশের নতুন জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয় এদিন।

এর আগে শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে গর্জে ওঠে বাঙালি। যতই দিন গড়াচ্ছিল, রাজনৈতিক সঙ্কট ততই গভীরতর হচ্ছিল। ইতিহাসের দিকে ফিরে তাকালে একাত্তরের এই সময়ের ঘটনাবলি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

আগের দিন ২২ মার্চ প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান সকালে ২৫ মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করে বলেন, ‘পাকিস্তানের উভয় অংশের নেতাদের মধ্যে আলোচনাক্রমে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের পরিবেশ সম্প্রসারণের সুযোগ সৃষ্টির জন্য ২৫ মার্চের অধিবেশন স্থগিত রাখা হয়েছে।’

অসহযোগ আন্দোলনের ২১তম দিবস ছিল ওইদিন। ‘জয় বাংলা’ স্লোগানে মুখরিত হাজার হাজার মানুষ বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের দিকে ছুটে যায়। সমবেত জনতার উদ্দেশে বঙ্গবন্ধু বেশ কয়েকবার বক্তৃতা করেন। সংগ্রামী জনতার ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানের মধ্যে স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধু ঘোষণা করেন— বন্দুক, কামান, মেশিনগান কোনো কিছুই জনগণের স্বাধীনতা রোধ করতে পারবে না।

প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান রাতে ২৩ মার্চ পাকিস্তান দিবস উপলক্ষে প্রদত্ত এক বাণীতে বলেন, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মিলেমিশে একসঙ্গে কাজ করার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। পাকিস্তান এখন এক ক্রান্তিলগ্নে উপনীত। গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পথে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে গেছে। তবে আমরা যদি আমাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকি, তাহলে কোনো কিছুই আমরা হারাব না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!