ঢাকা: অনেকেই আছেন, যারা ঠান্ডা পানি ছাড়া পান করতে পারেন না। গরমে তো বটে, শীতের সময়েও তাদের এই অভ্যাসে পরিবর্তন আসে না। একথা সবাই স্বীকার করবেন যে, ঠান্ডা পানি পান করতে বেশি ভালোলাগে। কিন্তু তাই বলে শীতের সময়েও পান করার অভ্যাস থাকলে তা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এভাবে আপনি হয়তো না বুঝেই ক্ষতি করছেন শরীরের। শীতের সময়ে ঠান্ডা পানি পান করলে কী হয়? চলুন জেনে নেওয়া যাক-
হজমে বিঘ্ন ঘটে
ঠান্ডা পানি আমাদের হজমশক্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে। এর ফলে ভুগতে হতে পারে অ্যাসিডিটি, কোষ্ঠকাঠিন্য, বমি ও পেট ফাঁপার মতো সমস্যায়। হজমকে তুলনা করা হয় আগুনের সঙ্গে এবং সেই প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে পারে ঠান্ডা পানি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, ঠান্ডা পানি রক্তনালীকে সঙ্কুচিত করতে কাজ করে। সেখান থেকে শুরু হয় হজম সংক্রান্ত সমস্যা।
হার্টের জন্য ক্ষতিকর
ঠান্ডা পানি পান করার অভ্যাস হৃদস্পন্দন কমাতে ভূমিকা রাখতে পারে। ফ্রিজে রাখা অতিরিক্ত ঠান্ডা পানি পান করলে তা ভ্যাগাস নার্ভকে উদ্দীপিত করে। এই স্নায়ু শরীরের অনিচ্ছাকৃত কাজগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করে। এর ফলে ঠান্ডা পানি সরাসরি ভ্যাগাস নার্ভকে প্রভাবিত করে, যা হার্ট রেট কমিয়ে দেয়। তাই হার্ট ভালো রাখতে এই শীতে ঠান্ডা পানি পান করা এড়াতে হবে।
মাথাব্যথা বাড়াতে পারে
অনেক সময় ঠান্ডা পানি পান করার কারণে বাড়তে পারে মাথাব্যথা। কারণ এটি মস্তিষ্কের স্নায়ুর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। সেখান থেকে বাড়তে পারে মাথাব্যথার সমস্যা। ঠান্ডা পানি মেরুদণ্ডের অনেক স্নায়ুকে ঠান্ডা করতে পারে, যা মস্তিষ্ককে প্রভাবিত করে এবং মাথাব্যথার কারণ হয়। সাইনাস থাকলে এটি আরও বেড়ে যেতে পারে।
গলা ব্যথার কারণ হতে পারে
শীতের সময়ে এমনিতেই ঠান্ডাজনিত নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকে। এক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি পান করলে দেখা দিতে পারে এজাতীয় আরও অনেক সমস্যা। বিশেষ করে এসময় ঠান্ডা পানি পান করলে তা হতে পারে গলাব্যথার কারণ। ঠান্ডা পানি পান করার ফলে শ্লেষ্মা তৈরির কারণে শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে।
ইউআর
আপনার মতামত লিখুন :