ঢাকা: আজকাল সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য অনেকেই কপাল, ঠোঁটের ওপরের অংশ ও গালের লোম তুলে ফেলেন। আবার যারা পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম) সমস্যায় ভোগেন তাদের ত্বকে লোমের আধিক্য বেড়ে যায়। তাই না চাইতেও তাদের মুখের অবাঞ্ছিত লোম তুলতে হয়। কেউ পার্লারে গিয়ে থ্রেডিং করান। এখন অনেকেই ফেস ওয়াক্সিং করান। অবাঞ্ছিত লোম তোলার এই পদ্ধতি সবচেয়ে বেদনাদায়ক। এতে ত্বকের ক্ষতি হয় সবচেয়ে বেশি।
শরীরের অন্যান্য জায়গায় ওয়াক্সিং করানোর থেকে অনেক বেশি কষ্টকর মুখের অবাঞ্ছিত লোম তোলা। মুখে যে ওয়াক্স ব্যবহার হয়, সেটা একটু মোটা প্রকৃতির হয়। তা ছাড়া ফেস ওয়াক্স করালে ত্বকের ক্ষতি হয়। নিয়মিত ফেস ওয়াক্সিং করালে ত্বকের সমস্যা আরও বাড়তে পারে।
ফেস ওয়াক্সিং করলে ত্বকের যে ক্ষতি হয়
১. বছরে ১/২ বার ফেস ওয়াক্সিং করালে ত্বকের ওপর খুব বেশি প্রভাব পড়ে না। কিন্তু নিয়মিত বা প্রতি মাসে ওয়াক্সিং করালে চামড়া আলগা হয়ে যায়। ওয়াক্সিং টেনে তুলতে হয়। এতে ত্বকের ওপর টান পড়ে। ত্বকের ইলাস্টিসিটি বা স্থিতিস্থাপকতা নষ্ট হয়ে যায়। দিনের পর দিন ওয়াক্সিং করালে চামড়া কুঁচকে যায়, ঝুলে পড়ে।
২. সবার ত্বক সমান নয়। ফেস ওয়াক্সিং করার পর ত্বকে র্যাশ বেরোতে পারে। ত্বকে লালচে ভাব দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে ফুসকুড়ি, ব্রণ ওঠে মুখ ভরে যায়। সংবেদনশীল ও ব্রণ-প্রবণ ত্বকে ভুলেও ওয়াক্সিং করবেন না। এমনকী শুষ্ক ত্বকেরও জ্বালাপোড়া বাড়তে পারে।
৩. ওয়াক্সিং করার ফলে মুখে ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যা আরও বাড়তে পারে। একে তো মুখে লোমের আধিক্য বেশি; তার ওপর লোম যদি বাইরে বেরোনোর বদলে ত্বকের ভিতর দিকে ঢুকে যায়, তখন বিপত্তি বেশি। ওয়াক্সিং করলে এই সমস্যা বেশি হয়।
৪. ফেস ওয়াক্সিং করার জেরে মুখে হাইপারপিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বকের কিছু অংশ কালো হয়ে যেতে পারে। সুতরাং, অবাঞ্ছিত লোম তুলতে ফেস ওয়াক্স না করাই উত্তম।
ইউআর
আপনার মতামত লিখুন :