ঢাকা: প্রতিবারের মতো এ বছরও ভাষার মাসে ‘বর্ণমালার রঙ’ শিরোনামে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেড।
এবারও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে বিভিন্ন স্কুলড়ুয়া শিক্ষার্থী। তাদের আঁকা মনোমুগ্ধকর ছবি রাঙিয়েছে বর্ণমালার প্রাঙ্গন। শনিবার বিকেল ৩টায় প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হয়।
রাজধানীর বাংলা মোটরে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে আয়োজিত পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
সভাপতিত্ব করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, এফসিএমএ। সঞ্চালনায় ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাইফুল হক। অনুষ্ঠানে বর্ণমালার কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রতিযোগী শিশু ও তাদের অভিভাবকসহ অংশ নেন আরও অনেকে।
পুরস্কার বিরতণ শেষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সকল ভাষা শহিদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন এবং পরবর্তী সময়ে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীন বাংলাদেশ।
কোমলমতি শিশুরা যে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনকে তাদের আঁকা সুন্দর সুন্দর ছবির মাধ্যমে তুলে ধরেছে, এটি অনেক গর্বের। আমি এই শিশুদের অভিভাবকদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই, কারণ তারা তাদের সন্তানকে বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাস তুলে ধরে বড় করছেন। বাংলাদেশের সকল কোমলমতি শিশুর সামনে যেন বাংলাদেশ সৃষ্টির সঠিক তথ্য উপস্থাপন করা হয়, সে ব্যাপারে আমাদের সচেষ্ট হতে হবে। শিশুদের মধ্যে যেন এ নিয়ে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি না হয়।’
প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশুদের অভিনন্দন জানিয়ে বর্ণমালা কমিউনিকেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল ইসলাম আনোয়ার, এফসিএমএ বলেন, ‘বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের গৌরবময় ইতিহাস। বর্ণমালার রঙ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো- শিশুরা যাতে বাংলাদেশের গর্বের ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। এর মাধ্যমে শিশুদের অভিভাবকরাও কিন্তু বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস জানার সাথে সম্পৃক্ত হতে পারছেন।’
ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে শিশুদের আঁকা মনোমুগ্ধকর এসব ছবির মধ্য থেকে বাছাই করা হয় বিজয়ীদের। বিচারক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের প্রিন্টমেকিং বিভাগের অধ্যাপক মো: নজির হোসেন খান। গ্রুপ ‘ক’ এর বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম হয়েছে আরাত্রিকা বড়াল (দ্বিতীয় শ্রেণি), দ্বিতীয় আরিহা মারিয়াম (প্লে গ্রুপ), তৃতীয় সুমাইরা বিনতে মাহমুদ (প্রথম শ্রেণি)। গ্রুপ ‘খ’ এর বিজয়ীদের মধ্যে প্রথম ইমরুল কায়েস রাফসান (সপ্তম শ্রেণি), দ্বিতীয় সৌভিক সাহা (পঞ্চম শ্রেণি) এবং তৃতীয় শাফিন উদ্দিন আহম্মেদ (ষষ্ঠ শ্রেণি)।
আনুষ্ঠানিকতার শেষ পর্যায়ে বিজয়ী শিশুদের নিয়ে কেক কেটে অনুষ্ঠান সমাপ্ত করেন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :