কুমিল্লা: অন্তর্বর্তী সরকারে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়া বলেছেন, যদি শেখ হাসিনার মত পরিণতি না চান তাহলে বহিরাগত শক্তির আশীর্বাদ নয়, জনগণের মেন্ডেটই হবে ক্ষমতায় আসার একমাত্র অবলম্বন। বর্তমান বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে অনেক ধরনের অভ্যন্তরীণ ও বহিরাগত ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয়, আমাদের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি বদ্ধমূল ধারণা জন্মেছে -ভারতের আশীর্বাদ ছাড়া মনে হয় বাংলাদেশে ক্ষমতায় আসা যায় না। ফলে তারা যেভাবে বক্তব্য দিচ্ছে স্বাধীনতা আমি মানুষের জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক। আপনারা যদি মনে করেন ভারতের আশীর্বাদ ছাড়া এদেশে ক্ষমতায় আসা যায় না, তাহলে বলতে হয় শেখ হাসিনার চেয়ে বেশি তোর আশীর্বাদ ছিল না, সেই শেখ হাসিনার কি পরিণতি বাংলাদেশের জনগণ করেছে তা আপনার স্পষ্ট ভাবে দেখতে পারছেন। আপনারা যদি ভবিষ্যতে সে ধরনের পরিণতির সম্মুখীন হতে না চান বাংলাদেশের জনগণের মেন্ডেটকেই একমাত্র ক্ষমতায় আসার উপায় হিসেবে গ্রহণ করুন।
তিনি আরও বলেন, পতিত স্বৈরাচারের সময় কুমিল্লাকে বিভিন্ন সময়ে বঞ্চিত করা হতো। এই অঞ্চলের দাবি কুমিল্লাকে প্রশাসনিক বিভাগ করার আলোচনা করব এবং দ্রুততা বাস্তবায়নের জন্য প্রচেষ্টা নিব। আমিও বলব যদি এখানে বিভাগ হয় তাহলে কুমিল্লা নামেই হবে।
অনুষ্ঠানে কুমিল্লা ও অন্যান্য জেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা মোট ৩৫ জন শহীদকে অর্থ সহযোগিতা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে মুরাদনগর উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, ছাত্র সংগঠন ও বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য রাখেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- আসিফ মাহমুদ সজীব ভূইয়ার পিতা বিল্লাল হোসেন, বিএনপি নেতা শাহ মোফজ্জল হোসেন কায়বাদের ভাই কাজী জুন্নুন বসরী, জাহাপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ কফিল উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন মাহমুদ, সোনাকান্দা দরবার শরিফের প্রতিনিধি কামরুল হাসান, হেফাজতে ইসলামের প্রতিনিধি মুফতি সাদেকুল ইসলাম, উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আ ন ম ইলিয়াস, সাবেক আমির মনসুর মিয়া, ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন মুরাদনগর উপজেলা সভপতি এমএম মনিরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। সঞ্চালনা করেন সমন্বয়ক তরিকুল ইসলাম।
এর আগে দুপুরে কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার সকল কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :