ঢাকা: জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণসহ ৯ দাবিতে মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয়ের কর্মচারীরা। এতে নড়েচড়ে বসেছে সরকার। শনিবার (৩০ নভেম্বর) বন্ধের মধ্যে কর্মচারীদের ডেকে তাদের দাবি-দাওয়াগুলো ফের শুনেছেন কর্মকর্তারা। সিদ্ধান্ত হয়েছে রোববার ফের আলোচনা হবে কর্মচারীদের দাবি-দাওয়া নিয়ে।
ইতোমধ্যে রোববারের আলোচনার বিষয়, সময় ও স্থান উল্লেখ করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ।
কর্মচারী সংগঠনগুলোর নেতারা জানান, গত বৃহস্পতিবার সংযুক্ত পরিষদ মহাসমাবেশের ডাক দিলে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ তাদের ডেকে পাঠান। প্রস্তাব দেন আলোচনার মাধ্যমে যে সমস্যার সমাধান সম্ভব সেই সমস্যা নিয়ে অস্থিরতা কেন তৈরি করা হবে। এতে কর্মচারী সংগঠনগুলো সম্মত হলে শনিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) মাহবুব উল আলম আলোচনায় বসেন।
দুপুর দুইটা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এ আলোচনা হয়, পরে সিদ্ধান্ত হয় রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ফের আলোচনা হবে। রোববার আলোচনায় অংশ নেবেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান- এমনটাই বলা হয়েছে সংযুক্ত পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
শনিবার অতিরিক্ত সচিবের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের উপদেষ্টা মো. তোয়াহা, সভাপতি বাদিউল কবির এবং ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিজাম উদ্দিন আহমেদ। এ ছাড়া আন্তঃমন্ত্রণালয় কর্মকর্তা কর্মচারী পরিষদের মহাসচিব মো. নজরুল ইসলাম ও সহ-সভাপতি মো. মাহমুদুল আলম।
উল্লেখ্য, নয় দফা দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেছেন, পতিত স্বৈরাচারের আমলে চাকরিতে অন্যায়ভাবে আরোপিত সব আদেশ প্রত্যাহার ও ভূতাপেক্ষ জ্যেষ্ঠতা প্রদানসহ নিয়মিত চাকরির ন্যায় ভূতাপেক্ষভাবে আর্থিক সুবিধা প্রদানের নির্দেশনা দিতে হবে। কর্মচারী প্রতিনিধিদের অন্তর্ভুক্ত করে জাতীয় পে-কমিশন গঠন এবং বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, ন্যায়বিচার ও সমতার ভিত্তিতে বিদ্যমান ২০টি গ্রেডের পরিবর্তে ১০টি বেতন গ্রেড নির্ধারণ করতে হবে। পূর্ণাঙ্গ পে-কমিশন বাস্তবায়নের আগে সর্বস্তরের কর্মচারীদের ৫০ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বাস্তবায়ন এবং ২০তম গ্রেডে (অফিস সহায়ক) কর্মরতদের বেতন গ্রেড ১৭তম গ্রেডে উন্নীত করতে হবে।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :