ঢাকা : আগামী বছর ২ মার্চের পর ভোটার তালিকার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের তথ্য সংগ্রহ করবে ইসি।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে এ এম এম নাসির উদ্দিন কমিশনের প্রথম বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
তিনি বলেন, বর্তমানে ১৭ লাখ তথ্য আমাদের হাতে আছে। ১ জানুয়ারি ২০২৫ যেটা সন্নিবেশ করব। এরা নতুন ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত হবে। তবে আমাদের পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে এই ডেটাটা সবসময় পূর্ণাঙ্গ হয় না। কারণ অনেকেই অফিসে এসে নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করেন না। এই সংখ্যাটা আনুমানিক ৪৫ লাখ হতে পারত। আমাদের হাতে যে ১৭ লাখ ডেটা আছে তার মধ্যে ১৩ লাখ ডেটা ২০২২ সালে সংগ্রহ করেছিলাম। আর মাত্র চার লাখ বিভিন্ন অফিসে এসে এ বছর ভোটার নিবন্ধন করেছেন। অর্থাৎ আমরা দেখতে পারছি কমবেশি ২৭ থেকে ২৮ লাখ ভোটার নিবন্ধিত হননি, কিন্তু ভোটার হওয়ার যোগ্য। এই বাস্তবতায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আমাদের এই বছরের যে হালনাগাদ প্রক্রিয়া সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ২ জানুয়ারি খসড়া প্রকাশের পর শুনানি, দাবি-আপত্তির পর ২ মার্চ চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়। ২ মার্চ চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হয়ে যাবে। কিন্তু যারা বাদ পড়ল আমরা চাই যে তারা আমাদের ভোটার তালিকায় সন্নিবেশিত হোক। এই জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের তথ্য সংগ্রহ করব। এই বাদ পড়া ভোটাররা ছাড়াও ২০২৫ সালে যারা ভোটার হবেন, অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত যারা ভোটার হবেন তাদের তথ্য আমরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে সংগ্রহ করব। এতে করে আমরা যে সুবিধা পাব বলে মনে করছি- আমাদের ভোটার তালিকাটি আমরা চেক করে নিতে পারব। এই ছয় মাস সময়ের সঙ্গে আমাদের ভোটার তালিকা হালনাগাদের কোনো সম্পর্ক নাই।
তিনি আরও বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে একটি শুদ্ধ এবং পূর্ণাঙ্গ তালিকা করা, যেখানে সঠিকতা যেন শতভাগ নিশ্চিত করতে পারি। তার পাশাপাশি যারা প্রাপ্তবয়স্ক তারা যেন ১ জানুয়ারি ২০২৫ এবং পরবর্তীতে ১ জানুয়ারি ২০২৬-এ যারা ভোটার হওয়ার যোগ্য তারা কেউ যেন বাদ না পড়েন।
তিনি বলেন, আরেকটি নীতিগত সিদ্ধান্ত আমরা নিয়েছি যখনই কোনো একটি নির্বাচন আমাদের সামনে আসবে, আমাদের চেষ্টা থাকবে তফসিল ঘোষণার আগ পর্যন্ত একটা সময় পর্যন্ত যেন যদি বিশেষ কোনও অর্ডিন্যান্স জারি করে হোক সবাই যেন আমরা ভোটার যোগ্যদের যেন আমরা তালিকাভুক্ত করতে পারি।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :