ঢাকা: আয়নাঘরের কথা স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক একেএম শহিদুর রহমান। তিনি বলেন, র্যাবের আয়নাঘর ছিল এবং আছে। গুম খুন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করছে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সমসাময়িক বিষয় এবং সাম্প্রতিক আভিযানিক কার্যক্রম সম্পর্কে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
একেএম শহিদুর রহমান বলেন, র্যাবের বিরুদ্ধে গুম খুনসহ কিছু অভিযোগ আছে। র্যাবের দ্বারা যারা নির্যাতিত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সেসবের বিচার নিশ্চিত করা হবে। ভবিষ্যতে এ বাহিনী এমন কোনো কার্যক্রমে কারও নির্দেশে জড়িত হবে না।
লিখিত বক্তব্যে র্যাব প্রধান বলেন, বাহিনীর শৃঙ্খলা রক্ষায় তারা কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ৫ আগস্টের পর গত চার মাসে ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৬ জন র্যাব সদস্যকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হেলিকপ্টার থেকে গুলি করার অভিযোগে ৩০ জন র্যাব সদস্যকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।
র্যাব বিলুপ্তির দাবি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মহাপরিচালক বলেন, ‘একটি বড় রাজনৈতিক দল র্যাব বিলুপ্তির দাবি তুলেছে। সরকার যদি মনে করে র্যাব বিলুপ্ত করা প্রয়োজন, তাহলে আমরা সেই আদেশ মান্য করব। তবে যতদিন থাকব নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করব।’
র্যাবের কালো পোশাক পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পোশাক পরিবর্তনে কিছু যায় আসে না। মানুষ ভালো হলে, সে যে পোশাকেই থাকুক না কেন, ভালো কাজই করবে।’
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, জঙ্গি তৎপরতা ছিল, ভবিষ্যতে যাতে জঙ্গিরা মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সেদিকে নজরে রেখা হচ্ছে। জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার দিয়ে গুলি করার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালে থেকে বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন সংশ্লিষ্টরা।
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :