কেএন-৯৫ মাস্ক এখন আর স্বপ্ন নয়

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২১, ০১:২৬ পিএম
কেএন-৯৫ মাস্ক এখন আর স্বপ্ন নয়

ছবি: সোনালীনিউজ

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, একটা সময় আমরা শুধু কেএন-৯৫ মাস্কের কথা শুনতাম। ভাবতাম এটা আমাদের দরকার। এখন জেএমআইয়ের কল্যাণে দেশেই তৈরি হচ্ছে কেএন-৯৫ মাস্ক। খুব শিগগিরই বাংলাদেশ এ মাস্ক রপ্তানি করবে।

সোমবার (৪ জানুয়ারি) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলের বলরুমে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই মাস্ক বাজারজাতের প্রক্রিয়া শুরু হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এমপি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি প্রফেসর ইকবাল আর্সলান।

ছবি: সোনালীনিউজ

অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা. ইকবাল আরসেনাল, জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল, ফাউন্ডেশন ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. আবদুল রাজ্জাকসহ কোম্পানিটির উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্হিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ আমাদের জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুরদর্শিতার কারণে এই রোগটি আমাদের ওপর তেমন একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। তাছাড়া এটি আমাদের অর্থনীতিতেও তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি যা বিশ্বে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

জেএমআইয়ের কারখানায় কেএন-৯৫ মাস্ক উৎপাদনে কাজ চলছে (ছবি: সংগৃহীত)

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ এর শুরু দিকে সরকারের চাহিদা পুরনে তাৎক্ষণিক জেএমআই ১০ লাখ গ্লাবস তৈরী করে দিয়েছিল। আমরা একসময় ওষুধ আমদানি করতাম, এখন আমরা রপ্তানি করেছি।  করোনাভাইরাস মোকাবেলায় কেএন-৯৫ কার্যকর ভূমিকা রাখা এটি উৎপাদনে কোম্পানি এগিয়ে আসায় দেশের মানুষ সুলভ মূল্যে এখন উন্নত মানের এই মাস্ক পাবে। 

এসময় বাংলাদেশের উন্নয়নে সহযোগী হওয়ায় জাপান সরকার ও বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে স্বাচিপের সভাপতি ইকবাল আর্সলান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে প্রস্তুতি অপর্যাপ্ত ছিল। তবে, সেসময় জেএম আইকে পাশে পেয়েছি আমরা। শুরুতে অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই ৪ লাখ করোনা শনাক্তের জন্য লালা সংগ্রহের কাঠি (সোয়াব স্টিক) সরবরাহ করে কোম্পানিটি। তিনি বলেন, শতভাগ কেএন-৯৫ মাস্ক এতদিন আমদানি নির্ভর ছিল, এখন জনগণের সেবায় তা সাশ্রয়ী মূল্যে দিচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্যমী ও দৃঢ় মনোবলের কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলে মনে করেন স্বাচিপ সভাপতি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেএমআই গ্রুপের চেয়ারম্যান জাবেদ ইকবাল পাঠান। তিনি বলেন, করোনাকালে জেএমআই গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ডিএনএ সল্যুশনের ল্যাবের জঞচঈজ মেশিনে প্রায় ১০ হাজার পুলিশ সদস্যের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। আবার সরবরাহ করা হয়েছে কোভিড চিকিৎসার ঔষধপত্র। এই ল্যাবে করোনার জিনম সিকোয়েন্স করছেন বেশ কয়েকজন গবেষক ও শিক্ষক, যারা ইতোমধ্যে ভাইরাসের গতিপ্রকৃতির গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিহ্নিত করতে পেরেছেন।

জেএমআই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুর রাজ্জাক বলেন, মাস্কটিতে থাকছে পাঁচ স্তরের সুরক্ষা। এর মধ্যে তিন স্তরে থাকছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফিল্টার পেপার। পরীক্ষামূলক উৎপাদন শেষে দেশ-বিদেশের পরীক্ষাগারে মাস্কের মান ও যোগ্যতা পরীক্ষা করা হয়েছে। আবদুর রাজ্জাক আরো বলেন, বর্তমানে আমদানি করা চীনা কেএন৯৫ মাস্ক দেশের বাজারে বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০০ টাকায়। ওই একই মানের মাস্ক ১০০টাকায় বিক্রি করবে জেএমআই।

সোনালীনিউজ/এএস/এমএইচ

Link copied!