ওড়াকান্দিতে মোদি

বহু দিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ২৭, ২০২১, ০১:৪৮ পিএম
বহু দিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হল

ঢাকা : বাংলাদেশ সফররত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গোপালগঞ্জের ওড়াকান্দিতে গিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে বলেছেন, তার বহু দিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হল।

টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর শনিবার ( ২৭ মার্চ ) সাড়ে ১২টার দিকে কাশিয়ানীতে মতুয়া সম্প্রদায়ের তীর্থস্থান ওড়াকান্দি মন্দিরে পৌঁছান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

সেখানে তিনি হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা দেন এবং পরে মতুয়া সম্প্রদায়ের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন।

তিনি বলেন, একভাবে এই স্থান ভারত ও বাংলাদেশের আত্মিক সম্পর্কের তীর্থস্থান।

মতুয়া মতবাদের প্রবক্তা হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মস্থান হল গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী থানার ওড়াকান্দি। ওই গ্রমের মন্দিরটি পরিচিত মতুয়া সম্প্রদায়ের কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদার তীর্থস্থান হিসেবে।

ভারত-বাংলাদেশ মিলিয়ে মতুয়া সম্প্রদায়ের অনুসারীর সংখ্যা পাঁচ কোটির বেশি। এর মধ্যে প্রায় তিন কোটির বসবাস পশ্চিমবঙ্গে।

ওড়াকান্দিতে পৌঁছেছেন মোদি : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির ওড়াকান্দি পৌঁছেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

শনিবার (২৭ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টার পর ওড়াকান্দিতে পৌঁছান তিনি।

ওড়াকান্দিতে মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। এরপর তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের প্রাণপুরুষ হরিচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে পূজা দেবেন।

এর আগে ১১টা ২০ মিনিটে হেলিকপ্টারে করে টুঙ্গিপাড়ায় অবতরণ করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

পরে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান।

এরও আগে এদিন সকালে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার ঈশ্বরীপুর গ্রামের যশোরেশ্বরী কালীমন্দিরে পূজা-প্রার্থনা করেন নরেন্দ্র মোদি। এরপর গোপালগঞ্জের উদ্দেশে রওয়ানা দেন তিনি।

মোদির আগমন কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজে ভাসছেন ওই এলাকার বাসিন্দারা। সামাজিক বৈষম্য আর শোষণের বিরুদ্ধে সংগ্রাম শুরু ২১০ বছর আগে। ধর্মগুরু হরিচাঁদ ঠাকুরের নেতৃত্বে একই ছাতার নিচে আশ্রয় নেন পিছিয়ে পড়া সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শুরু হয় মতুয়া মতাদর্শের।

মতুয়া অর্থ মতোয়ারা হওয়া। হরি নামে যারা মেতে থাকেন তারাই মতুয়া। ১৮১১ সালে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে জন্ম নেন সম্প্রদায়টির প্রতিষ্ঠাতা হরিচাঁদ ঠাকুর। বিশ্বের কয়েক কোটি মতুয়ার এই তীর্থভূমিতে পা রাখেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগমনকে কেন্দ্র করে সব জায়গায় উৎসবের আমেজ।

স্থানীয় মতুয়ারা বলছেন, একটা সময় পিছিয়ে থাকলেও এখন শিক্ষা ও জ্ঞানের জগতে তাদের সমান পদচারণা। নরেন্দ্র মোদির আগমণ তাদের করবে আরো বেশি উৎসাহিত-অনুপ্রাণিত।

সফরের দ্বিতীয় ও শেষ দিনে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দির ঠাকুরবাড়ির মতুয়া মন্দির পরিদর্শন ও প্রার্থনা করবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপর মতুয়া সম্প্রদায়ের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন তিনি।

গোপালগঞ্জ সফর শেষে দুপুরে ঢাকায় ফিরবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিকেলে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা করবেন। তার আগে দুই প্রধানমন্ত্রী একান্তে আলোচনা করবেন। সবশেষে নরেন্দ্র মোদি বঙ্গভবনে যাবেন। সন্ধ্যায় সেখানে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ঢাকা ছেড়ে যাবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

 

Link copied!