মামুনুলের সাত দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: এপ্রিল ১৮, ২০২১, ১১:০৬ পিএম
মামুনুলের সাত দিনের রিমান্ড চাইবে পুলিশ

ঢাকা : হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরের সেক্রেটারি মামুনুল হকের বিরুদ্ধে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করবে পুলিশ।

রোববার (১৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল লতিফ সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

ওসি আব্দুল লতিফ বলেন, ‘মামুনুলকে সোমবার আদালতে পাঠিয়ে সাত দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে। ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলায় তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে।’

রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের ঘটনায় দায়ের হওয়া একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া সাম্প্রতিক মোদিবিরোধী আন্দোলনের সময়ও সহিংসতা করায় একাধিক মামলায় মামুনুল হকের নাম রয়েছে। প্রথমে মামুনুলকে পুরনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে। পরে একে একে সব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তার রিমান্ড চাওয়া হবে।

এদিকে মামুনুলকে গ্রেপ্তারের পর দুপুরে এক ব্রিফিংয়ে তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশিদ বলেন, দেশে বিভিন্ন সময় মামুনুল উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুরসহ নাশকতার ঘটনা ঘটেছে। এ জন্য তার বিরুদ্ধে আরো মামলা হয়েছে।

ডিসি হারুন বলেন, সম্প্রতি সারা দেশে হেফাজতের তাণ্ডবে থানা এবং সরকারি অফিসসহ অনেক কিছুই ভাঙচুর হয়েছে। আমাদের মোহাম্মদপুর থানায়ও ভাঙচুরের একটি মামলা ছিল। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তদন্ত করছিলাম। তদন্তের ভিত্তিতে আমরা নিশ্চিত হয়েছি, ২০২০ সালের এক মামলার সঙ্গে সে জড়িত। এ মামলায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি। ওখান থেকে গ্রেপ্তার করে আমাদের অফিসে নিয়ে এসেছি।

এ ঘটনার সত্যতা মামুনুল স্বীকার করেছেন বলেও জানান ডিসি।

মামুনুলকে আদালতে পাঠানো হবে জানিয়ে ডিসি বলেন, “আইনগতভাবে যা যা করা দরকার আমরা তাই করব। আদালতে পাঠানোর আগে থানাতেই রাখা হবে।”

মামুনুলের রিমান্ড আবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হারুন-অর-রশীদ বলেন, মামুনুলের বিরুদ্ধে আরো মামলা রয়েছে। ওইসব মামলা এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!