ঢাকা : করোনায় সবচেয়ে নিষ্ঠুরতম সময় গেলো এপ্রিল জুড়ে। বাংলাদেশে এই মাসে প্রতিদিন গড়ে ৮১ জনের প্রাণ গেছে করোনায়। আর মোট মারা গেছেন ২ হাজার ৩৪৭ জন। এই পরিস্থিতিতে ভ্যাকসিন ফুরিয়ে আসলেও দুর্ভাবনা কিছুটা কমেছে রাশিয়া ও চীনের আশ্বাসে।
অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিন ফুরিয়ে আসায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা। তবে আশা জাগাচ্ছে, চীন ও রাশিয়ার টিকা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে দেশেরই টিকা হোক না কেন, প্রয়োগের পরপরই অ্যান্টিবডি তৈরি হয় না। এ অবস্থায় আগামী অন্তত চার মাস অনিরাপদ থাকছে দেশ। তাদের ধারণা, এ মাসের শেষ দিকে দৈনিক সংক্রমণ দ্বিগুণ হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের ভ্যাকসিন সংগ্রহের ব্যস্ততায় হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা থেকে মনযোগ সরে গেলে বিপদ বাড়বে। সংক্রমণ হিসেব- নিকেশের বিভিন্ন মডেল বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, চলতি মাসের শেষের দিকে দৈনিক সংক্রমণ দ্বিগুণ হতে পারে।
রাশিয়া কিংবা চীন যে দেশেরই ভ্যাকসিন হোক না কেন প্রয়োগের পরপরই অ্যান্টিবডি তৈরী হয় না। তাই আগামী অন্তত চার মাস অনিরাপদ অবস্থায় থাকছে দেশ।
পাশের দেশ ভারতের এখনকার অবস্থায় স্বস্তির অবকাশ নেই বাংলাদেশের। তাই চলমান লকডাউনকে কিভাবে বাস্তবসম্মতভাবে কার্যকর করা যায় সেই তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ দিলেন বিজ্ঞানীরা।
একই সাথে সারাদেশের হাসপাতালে কেন্দ্রীয় অক্সিজেন সরবরাহ ব্যবস্থা তৈরীর কাজ দ্রুত শেষ করার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :