২০২২ সালের মধ্যে শিল্পকারখানায় ৪১ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২১, ০৫:৪১ পিএম
২০২২ সালের মধ্যে শিল্পকারখানায় ৪১ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন

ফাইল ফটো

ঢাকা: আগামী ২০২২ সালের মধ্যে দেশের শিল্পকারখানা গুলোতে ৪১ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান।

শনিবার (১৯ জুন) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) ওয়েবিনারে তিনি এই তথ্য জানান।

ইটিবিএল সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান রাহমানের সঞ্চালনায় এময় আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটারি কমিশনের (বিইআরসি)সদস্য মো. মাহবুব-ই-এলাহী চৌধুরী, বিজিএমইএর সভাপতি মো. ফারুক হাসান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ডিন প্রফেসর মো. শামসুল আলম, পেট্রোবাংলার সাবেক ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সালেক সুফি প্রমুখ।

ডিসিসিআই ওয়েবিনারে অংশ নেয়া বক্তরা

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে শিল্প কারখানাগুলোতে ৪১ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের লক্ষ্যে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে ৪ লাখ প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করা হয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে আরো ৫০ থেকে ৫৫ হাজার মিটার স্থাপন করা হবে। 

গ্যাসের প্রি-পেইড মিটারের জন্য নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকোর)-এর সংগে মিটার তৈরি সংক্রান্ত একটি চুক্তির বিষয়ে ভাবছে তিতাস গ্যাস। এ লক্ষ্যে তিতাসের প্রকৌলশলীরা তাদের মিটারের মানসহ প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। এছাড়া জাপানি একটি কোম্পানির সংঙ্গেও তিনি আলাপ আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। যাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় মিটারের ব্যবস্থা করা যায়।  

অবৈধ সংযোগ নেয়া শিল্পকারখানার মালিকদের হুশিয়ার করে দিয়ে সচিব বলেন, যারা মিটার টেম্পারিংয়ের মাধ্যমে শিল্পকারখানায় গ্যাস ব্যবহার করছেন তাদের বিষয়ে মিটার চলা অবস্থা আমরা রিডিং নিবো যদি সঠিক রিডিং না পাওয়া যায় তাহলে ওই সব কারখানা বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। কেউ টাকা দিয়ে গ্যাস পাবে না তা হতে পারে না। 

তিনি আরো বলেন, সরকার গ্যাসের অবচয় রোধ করে দেশে শিল্পখাত আরো বিকশিত করতে চায়। এজন্য নতুন করে জাতীয় গ্রিডে আরো ১০ কোটি গণফুট গ্যাস যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া সম্প্রতি সিলেটের জকিগঞ্জে একটি কুপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখান থেকে বাপেক্স গ্যাস উত্তোলন করবে। 
 
তিনি জানান, দেশে এলপিজির মার্কেটের চাহিদা রযেছে ১২ লাখ টন। সরকার ইতোমধ্যে এই সেক্টরে ৩০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। এ সক্টরে বর্তমানে ২৯টি বেসরকারি এলপিজি কোম্পানি কাজ করছে। 

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ সচিব বলেন, সরকার মাতারবাড়িতে একটি এলপিজি টার্মিনাল স্থাপন করছে। যেখানে ১২ মিলিয়ন টন থেকে ৪০ মিলিয়ন টন ধারণ ক্ষমাতা সম্পন্ন জাহাজ আসতে পারবে। যদি আমরা তা করতে পারি তাহলে আমাদের এক-তৃতীয়াংশ খরচ কমে যাবে।

সোনালীনিউজ/আরএইচ/এমএইচ

Link copied!