ঢাকা : করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)—এর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে দীর্ঘদিন ধরে চলা চলমান কঠোর বিধিনিষেধ শেষে বুধবার (১১ আগস্ট) ভোর থেকে সারা দেশের দোকানপাট, বিপণিবিতান, সরকারি বেসরকারি অফিসসহ গণপরিবহনও খুলছে।
দীর্ঘ ২১ দিন ধরে ‘কঠোর’ লকডাউনের পর প্রায় সবকিছুই খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বিনোদনকেন্দ্র, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও গণজমায়েত বন্ধই থাকছে।
গণপরিবহন অর্ধেক খুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে দোকানপাট, বিপণিবিতানে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়কেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে কেনাবেচা করতে হবে। সরকার পরবর্তী নির্দেশ দেয়া না পর্যন্ত দোকানপাট ও বিপণিবিতান সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ১০ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, দীর্ঘ বিরতির পর দোকান খোলা হচ্ছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান চালানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
কেউ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ না করলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
তিনি বলেন, বড় মার্কেট, বিপণিবিতান, শপিংমলের দোকান টানা বন্ধ ছিল। এসব জায়গার দোকান সহ অন্যান্য দোকানে মালামাল নষ্ট হয়ে থাকতে পারে। আমরা সরকারকে অনুরোধ করছি যেসব দোকান মালিকের পুঁজি ও পণ্য নষ্ট হয়েছে, তাদের যাতে বিনা শর্তে ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়। সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষতির হিসাব করে সরকারকে জানানো হবে।
করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে গত ৫ এপ্রিল থেকে চলাচলসহ সব ধরনের কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। কোরবানির ঈদের আগে এক সপ্তাহ বাদে বলা যায় এ সময়ে টানা লকডাউন ছিল। এ সময় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয় সরকার।
যদিও দোকান মালিক সমিতি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান খোলার দাবি জানিয়েছিল। কিন্তু সরকার সে দাবি রাখেনি। সরকারের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে অন্যান্য খাতের সঙ্গে দোকানপাট খোলা রাখার সুযোগ দেয়া হয়েছে।
সোমবার (৯ আগস্ট) মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে বৈঠকের এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ওই বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন— যেসব বিষয় বলা হয়নি, যেমন বিনোদনকেন্দ্র, জমায়েত এগুলোর অনুমতি দেয়া হয়নি। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ থাকবে।অবশ্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি থাকবে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :