নির্বাচনে বাড়ছে সহিংসতা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২১, ১২:১২ পিএম
নির্বাচনে বাড়ছে সহিংসতা

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা : ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে (ইউপি) কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক ঘটছে সহিংস ঘটনা।

সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) নরসিংদীতে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এসব সহিংস ঘটনায় বিব্রত ও উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো দায় নিতে নারাজ।

স্থানীয় মাঠ প্রশাসনও এসব ঘটনার জন্য দায়ী করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলোকে। করণীয় নির্ধারণে স্থানীয় মাঠ প্রশাসন ও  আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেও পরিস্থিতির পরিবর্তন হচ্ছে না।

এরকম পরিস্থিতিতে গতকাল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে আবারো বৈঠক করেছে ইসি। বৈঠকে ঢাকা ও খুলনা বিভাগের ইউপি নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।

সহিংসা এড়াতে নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা দেওয়া এবং আচরণ বিধি লঙ্ঘনকারীদের প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির প্রস্তাব করেন তারা।

গত ২০ জুন থেকে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে এ পর্যন্ত ২৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন স্থানে সহিংসতা হয়েছে শতাধিক। চলমান দ্বিতীয় ধাপের ইউপি ভোটে ১৬ জনের প্রাণহানি হয়। সর্বশেষ নরসিংদীতে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনজন নিহত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নরসিংদীর সদরের প্রত্যন্ত চরাঞ্চল আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে তারা মারা যান। এসময় কমপক্ষে ৫০ জন গুলি ও টেঁটাবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন।

নিহত তিনজন হলেন আলোকবালী ইউনিয়নের নেকজানপুর গ্রামের আশরাফুল (২০), আমির হোসেন (৫০) ও খুশি বেগম (৫৫)। নিহত তিনজনই আলোকবালী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. দেলোয়ার হোসেনের কর্মী-সমর্থক। দেলোয়ার এবারো চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন। তার প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিত ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদুল্লাহর সমর্থকদের সঙ্গে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

গত কয়েক দিন ধরেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা চলছে।

এমন পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে সহিংসতা কিভাবে কমানো যায়, সেই করণীয় নির্ধারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বৃহস্পতিবার ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনলাইন বৈঠকটি হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত সভায় সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকার সব বিভাগীয় কমিশনার, উপ-মহাপুলিশ পরিদর্শক, পুলিশ কমিশনার ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচন কমিশন সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকার বলেন, ‘প্রথম ধাপের নির্বাচন ভালো হয়েছে। কিন্তু এর পরে যেসব সহিংস ঘটনা ঘটেছে, তার কারণে কমিশন উদ্বিগ্ন। অবশ্য আজকে (গতকাল) আপনাদের বক্তব্যে কমিশন আশ্বস্ত।

আশাকরি, পরবর্তী ধাপগুলোর নির্বাচনও সুষ্ঠু ও সুন্দর হবে।’

ঢাকা, খুলনা এবং সিলেট বিভাগ থেকেও নির্বাচনে সহিংসতার শঙ্কার কথা তুলে ধরেন মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা।  

এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তারা প্রস্তুতির কথা জানান এবং বেশি সংখ্যক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের প্রস্তাব করেন।

খুলনার বিভাগীয় কমিশনার তার বক্তব্যে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নড়াইল, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং মাগুরায় সহিংসতার আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

তিনি মাগুরার ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘ওই ঘটনার পর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ওই এলাকায় যাওয়ার পর পরিস্থিতি কিছুটা ভালো। তবে কিছু সমস্যা ও শঙ্কা রয়েছে। আমরা ভালো নির্বাচন অনুষ্ঠানে অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সচেতন ও সজাগ আছি।

আশাকরি, ভালো নির্বাচন হবে।’ তিনি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ভয়াবহ সংকটের কথাও এ সময় তুলে ধরেন।

খুলনা রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি বলেন, ‘আমাদের জন্য মাগুরা, শৈলকূপা চ্যালেঞ্জিং। তবে আমরা সকলে মিলে চেষ্টা করে যাচ্ছি। আমাদের সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আশাকরি, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকবে।’

বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার আচরণ বিধি লঙ্ঘনে প্রার্থিতা বাতিলের মতো কঠোর শাস্তির কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘একজন সরকারি কর্মকর্তা নয়, দেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমার প্রস্তাব থাকবে—আচারণবিধি লঙ্ঘনের জন্য স্ট্রং পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয়। দুই-চারটি প্রার্থিতা বাতিল হলে সেটা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। সকলে আচরণবিধি লঙ্ঘনের মতো অপরাধ করার আগে এই বিষয়টি চিন্তা করবে।’

সিলেট রেঞ্জের পুলিশের ডিআইজি তার বিভাগের অন্য জায়গার পরিস্থিতি ভালো থাকলেও সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার ও ছাতকের পরিস্থিতি চ্যালিঞ্জিং বলে উল্লেখ করেন। দুর্গম ওই উপজেলা দুটির বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে একই দিনে ভোট হওয়ায় পরিস্থিতি কিছুটা কঠিন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তারা নিয়মিত ওয়ারেন্ট তালিম, ওয়ায়েন্টভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারসহ সার্বিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি তার বিভাগের অর্ধেকের মতো ইউনিয়ন পরিষদ খুবই ঝুঁকিপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন। জুম মিটিংয়ে তার বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘সকলেই নিজ নিজ এলাকার ভালো পরিবেশের কথা তুলে ধরেছেন। তবে আমাদের পরিস্থিতি একটু ভিন্ন।

ঢাকা বিভাগের যেসব ইউনিয়নে নির্বাচন হবে, তার অর্ধেকের মতো (৯০টি) উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজমান। এসব জায়গায় সহিংসতার আশঙ্কা আছে।

বিশেষ করে ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুরের নির্বাচন নিয়ে আমাদের আশঙ্কা আছে। যাতে কিছু না ঘটে এবং উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তার জন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

এ সময় তিনি নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র জমা নেওয়ার প্রস্তাব করে বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার আদেশ জারি হয়ে থাকে। এবার এ ধরনের কোনো নির্দেশনা আমরা পাইনি। যতদূর শুনেছি, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে নির্বাচনের আগে বৈধ অস্ত্র থানায় জমা দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হলে ভালো হয়।’

ঢাকা রেঞ্জের কমিশনার নির্বাচনি আচরণবিধির যথাযথ প্রয়োগের প্রস্তাব করে বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে যদি কঠোর শাস্তি দেওয়া হয় এবং ত্বরিত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে আমাদের জন্য ভালো হয়। সহিংস পরিস্থিতি এড়ানো সম্ভব হয়।’

ঢাকার অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনারও ঢাকা বিভাগে নির্বাচনে চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন।

কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রথম ধাপের নির্বাচন ভালো হয়েছে। তবে এরপর সহিংসতা বেড়েছে। এজন্য আমরা বিব্রত ও উদ্বিগ্ন।

কেন পরিস্থিতির অবনতি, কেনইবা প্রাণহানি তা জানি না। এই বিষয়টি মোটেও কাম্য নয়। সকলে যার যার জায়গা থেকে সক্রিয় থাকলে, আর প্রাণহানি হবে না বলে মনে করি।’

তিনি বলেন, ‘আইনশঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের বলবো, নির্বাচনে লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে।

আমরা খবর পাচ্ছি, যেসব সহিংসতা হচ্ছে তার শিকার স্বতস্ত্র প্রার্থীরা। ভুক্তভোগীদের কেউ কেউ আমাদের ফোন করেও এসব বলছেন। আমার মনে হচ্ছে, স্থানীয়ভাবে তারা প্রতিকার পাচ্ছেন না। সবাইকে সমান সুযোগ দেওয়া হলে সহিংসতা কমবে।’

অনেক স্থানে স্বতস্ত্র প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতেও পারেননি—এমন অভিযোগও ইসির কাছে এসেছে বলে এই কমিশনার উল্লেখ করে বলেন, ‘এই ধরনের ঘটনা মোটেও কাম্য নয়। এগুলো দেখতে হবে।

আপনারা সক্রিয় হয়ে পূর্ণাঙ্গ শক্তি কাজে লাগালে সহিংসতা যারা করছে, তাদের দমন করা কঠিন হবে না। পাশাপাশি বলবো— নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট যদি দায়িত্ব পালনে নির্লিপ্ত না থাকেন, তাহলে পরবর্তীতে এ ধরনের ঘটনা ঘটবে না।’

কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘প্রার্থী ও রাজনৈতিক দলগুলোকে বলবো, তারা যেন তাদের অতি উৎসাহী কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন। তারা যেন বাড়াবাড়ি না করে। নির্বাচনে কোনো জানমালের ক্ষতি হোক চাই না। সেই ধরনের কিছু হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবো না।’

নির্বাচনি কর্মকর্তাদের হুঁশিয়ার উচ্চারণ করে তিনি বলেন, ‘সবাইকে বলবো—নির্বাচনি দায়িত্ব যেন আইনানুগ হয়। আইনের শৈথিল্য প্রমাণ হলে আমরা ব্যবস্থা নিতে পিছপা হবো না। কোনো নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠান না হওয়ার আশঙ্কা থাকলে, দরকার হলে ভোট বন্ধ করে দিতে হবে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বলেন, ‘সকলের বক্তব্য শুনে আমরা আশ্বস্ত। আশাকরি, সুন্দর নির্বাচন হবে। এখানে খুলনা ও ঢাকার উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কথা বলা হয়েছে।

এরমধ্যে সময়োপযোগী পদেক্ষেপের ফলে খুলনার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। ঢাকার বিষয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সফল হবো। গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে আগেভাগে ব্যবস্থা নেওয়া গেলে, সহিংস ঘটনা এড়ানো সম্ভব হবে।’

নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে দেশের আটটি বিভাগের প্রায় সবগুলোর মাঠ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বেশি সংখ্যায় পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের প্রস্তাব করেন। তাদের নিজস্ব ফোর্স ঘাটতির কথা বলে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে পুলিশ ফোর্স ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েনের জন্য অনুরোধ করেন।

তাদের এলাকায় যে সংখ্যক ইউপি নির্বাচন হচ্ছে, সেই তুলনায় প্রয়োজনীয় পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেই উল্লেখ করে অন্য কোনো এলাকা বা কেন্দ্রীয় কোনো রিজার্ভ ফোর্স থেকে সেই ঘাটতি পূরণের প্রস্তাব করেন।

এ সময়ে তারা একই ধাপে এতো সংখ্যক ইউপির তফসিল না দেওয়ার প্রস্তাবও করেন। অবশ্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা এই বিষয়ে তাদের খুব একটা আশার বাণী শোনাতে পারেননি।

তিনি বলেন, ‘করোনার কারণে সবগুলো নির্বাচন পূঞ্জীভূত হওয়ার ফলে প্রতিটি ধাপে তাদের বেশি করে ইউপির নির্বাচন করতে হচ্ছে। তারা ৩০০ থেকে ৩৫০টি করে ইউপি নির্বাচন প্রতি ধাপে করতে পারলে, এই সমস্যা হতো না। আপনাদেরকে সার্বিক বিষয়টি বিবেচনা করে যে জনবল রয়েছে, তার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে।

তারপরও আমি সচিবকে বলবো—জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলাপ করে ফোর্স বাড়ানোর কোনো ব্যবস্থা করা যায় কিনা সেটা দেখবেন।’

এর আগে গত মঙ্গলবার নির্বাচনি সহিংসতা রোধে করণীয় নির্ধারণে মাঠ প্রশাসনের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসে কমিশন। ওই বৈঠক থেকে বিদ্যমান পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত হয় কমিশন। স্থানীয় মাঠ প্রশাসন এসব ঘটনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও রাজনৈতিক দলগুলো দায়ী করে।

তারা বলেন, নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তা এবং রাজনৈতিক দলের অসহযোগিতার কারণে সহিংসতা বেড়ে যাচ্ছে। মাঠ প্রশাসনের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করে ইসি।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে ইসি। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর ৬২ জেলার ৮৪৮টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনে ভোট নেওয়া হবে। ৮৪৮টি ইউপির মধ্যে ২০টিতে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেওয়া হবে। দ্বিতীয় ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল ১৭ অক্টোবর।

মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই হবে ২০ অক্টোবর, আপিলের নিষ্পত্তি হয় ২৪ ও ২৫ অক্টোবর। আপিল নিষ্পত্তির পর বৈধপ্রার্থীরা ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে, এরপর ২৭ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!