ঢাকা : ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম এর বেতন বৈষম্য ও পে স্কেল সংস্কারের দাবীতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে কর্মচারীদের এই দূর্দিনে ৮ দফা দাবী আদায়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
জাতীয় বেতন স্কেলের ১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বিভিন্ন ধরনের দাবি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস ধারণ করে “১১-২০ গ্রেডের সরকারি চাকুরিজীবীদের সম্মিলিত অধিকার আদায় ফোরাম” সকল সরকারি চাকুরিজীবীদের বেতন ভাতাদির মধ্যে একটি যৌক্তিক ভারসাম্য স্থাপনের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে, সেই সাথে যুগােপযােগী সংস্কারের মাধ্যমে সরকারি চাকুরিতে একটা শৃংখলা তৈরীর লক্ষ্যে সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যােগাযােগের মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে জোরালাে ভূমিকা রাখবে।
সরকারি কর্মচারীদের প্রাণের দাবী সমূহ:
১। স্থায়ী পে কমিশন গঠণ করে ৯ম পে-স্কেল ঘােষনার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ গ্রেড অনুযায়ী বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে এবং পে-স্কেল বাস্তবায়নের পূর্বে অন্তবর্তীকালীন সময় যৌক্তিক পরিমানে মহার্ঘ ভাতা প্রদান করতে হবে।
২। এক ও অভিন্ন নিয়ােগ বিধি বাস্তবায়ন করতে হবে।
৩। সকল পদে পদোন্নতি বা ০৫ (পাঁচ) বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করে ব্লক পােস্ট নিয়মিতকরণ করতে হবে।
৪। টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড পূনঃবহালসহ বেতন জ্যেষ্ঠতা বজায় রাখতে হবে।
৫। সচিবালয়ের ন্যায় সচিবালয়ের বাহিরে সকল দপ্তর, অধিদপ্তর এবং পরিদপ্তরে পদবী ও গ্রেড পরিবর্তন করতে হবে।
৬। সকল ভাতা বাজার চাহিদা অনুযায়ী পুনঃনির্ধারণ করতে হবে।
৭। নিম্ন বেতনভােগীদের জন্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে ও বিদ্যমান গ্র্যাচুইটি/আনুতােষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% পুনঃনির্ধারণ সহ পেনশন গ্র্যাচুইটির হার ১ টাকা = ৫০০ টাকা করতে হবে।
৮। কাজের ধরন অনুযায়ী পদের নাম ও গ্রেড একীভূত করতে হবে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :