ঢাকা : বাংলাদেশ রেলওয়ের মান-উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পের ১৮৮৯ জন গেইট কিপারের চাকরি রাজস্ব খাতে স্থায়ীকরণের দাবিতে বীর ও-যোদ্ধার সন্তান ও রুেণপােষ এবং বাংলাদেশ রেলওয়ে ১৮৮৯ জন গেইট কিপার রাজস্বকরণ বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ পূর্ব ও পশ্চিমা অঞ্চলের উদ্যোগে কমলাপুর রেলওয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া অনির্দিষ্টকালের আমরণ অনশন রোববার (৬ মার্চ) ৮ম দিনেও অব্যাহত রেখেছেন গেইট কিপাররা।
দীর্ঘ সময় অনশনের ফলে ইতিমধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং প্রায় শতাধিক গেইট কিপার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তার মধ্যে সিলেট সেকশনের ফাতেমা আক্তার, মনিরুল ইসলাম, কুলাউড়া সেকশনের সাজ্জাদ, টঙ্গির লাকী আক্তার, লিজা, ফেনীর হালিমা খাতুন, ফাতেমা আক্তার, কাওসার, রুবেল, যশাের সেকশনের চামেলি বেগম, সুমাইয়া, শ্রীমঙ্গলের আকুল মন্ডল, কাউছার আহম্মেদ অনিক, জামালপুরের কাকলি বেগম, লালমনিরহাটের হালিমা আক্তার, পলাশ, হাফিজ মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জের ফরহাদ বাডেম হাসপাতাল, নিওরাে সাইন্স হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও মুগদা মেডিকেল কলেজ সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাকিদের অনশন স্থলেই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে অন্তত ৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত ১২০ ঘন্টা ধরে কমলাপুরের খোলা আকাশের নিচে গেইট কিপাররা অনশন চালিয়ে আসলেও এখনাে পর্যন্ত রেলপথ মন্ত্রণালয় অথবা বাংলাদেশ রেলওয়ের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার কোন সুর্নিদিষ্ট ঘোষণা আসেনি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত গেইট কিপারবা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। অনশনের কারণে কোন প্রন্সর অপ্রীতিকর ঘটনার সৃষ্টি হলে তার দায়
রেলপথ মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
কর্মসূচিতে গেইট কিপারা বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়ের মান উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্প নিয়ােগ বিজ্ঞপ্তি নং-৪৭০ ই/গেইট কিপার নিয়ােগ/প্রকল্প/সিই পূর্ব-২০১৬ (ডব্লিউ) তারিখঃ ৩১/১০/২০১৬ইং, বিজ্ঞপ্তি নং-এসেট ৬০১/৫ (নিয়ােগ) প্রকল্প সিই/পশ্চিম ২০১৬ (ডব্লিউ') তারিখ: ১৫/১০/২০১৬ইং মোতাবেক ১৮৮৯ জন গেইট কিপার অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়ােগপ্রাপ্ত হয়ে নিয়ােজিত আছি।
এর মধ্যে ৫৭২ জুন বীর মুক্তিযােদ্ধার সন্তান, ৫৫৫ জন রেলপােষ্য এবং ৩২৫ জন নারী গেইট কিপার রয়েছেন। ২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর এমনেক সভায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ প্রকল্পের কর্মরত গেইট কিপারদের রাজত্ খাতে স্থানান্তর করে চাকরি স্থায়ী করণে রেলপথ চাণালয়কে জরুরী ভিত্তিতে উদ্যোগ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু রেলপথ মন্ত্রণালয় এখন পর্যন্ত দৃশমান কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। আমরা রেলপথ মন্ত্রণালয়ে বহুবার স্মারকলিপি দিয়েছি, চিঠি দিয়েছি, আমাদের দুর্দশার কথা জানিয়েছি কিন্তু তারা আমাদের কোন কথায় কর্ণপাত করেনি।
তারা বলেন, নিয়ােগের সময় গেইট কিপারদের বেতন নির্ধারণ করা হয় সর্বসাকুল্যে ১৪,৪৫০/- টাকা। বিগত ৫ বছরে এ বেতন বাড়েনি। বেশির ভাগ গেইটকিপার তাদের নিজ জেলা ব্যতীত অন্য জেলায় চাকরি করেন। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে বাসা ভাড়া, পরিবারের ভরণপােষণ, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া, চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে তাদের হিমশিম খেতে হয়।
অপরদিকে প্রায় সকলের বয়স ৩২ বছর অতিক্রম প্রায় অন্য চারিতেও ঢোকার সুযােগ নেই। নং-মবি/কঃবিঃশ:/কপগ-১১/২০০১-১১, তারিখ: ০৩/০৫/২০০৩ নং মপবি/ক:বি:শাঃ/মক-০১/২০০৩ ২৮, তারিখ: ২২/০১/২০০৩ প্রজ্ঞাপন মূল্যে অস্থায়ীভাবে সৃজনকৃত পদ হতে বাজস্ব খাতে পেরণ করা সম্ভব। অথচ আমাদের চাকরির মেয়াদ প্রায় ৫ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। তাই অবিলম্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে আমাদের চাকরি রাজগখাতে স্থানান্তম মল্লার জোর দাবি জানাচ্ছি।
অনশন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন ঢাকা বিভাগের গেইট কিপার সুজন আহমদ, মােঃ আল মামুন, কাওছার, মাহাবুব আলম মাফুল আলাহাজ, চট্টগ্রাম বিভাগের জাবেদুল হক, মােঃ মাসুদুল ইসলাম, পাকশি বিভাগের রূপ ভীন, কাজী পিয়াশ, সােহেল, ছােটনসহ অনেকে।
সোনালীনিউজ/এসআই/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :