ঢাকা : নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোটি যারা পরিচালনা করেন তাদের বিরাট অবহেলা পরিলক্ষিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় মনিটরিং টিমের অবহেলা ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা নেবে।
রোববার (৫ জুন) দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সীতাকুণ্ডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বন্দরের পক্ষ থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের আগামী তিনদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে প্রতিবেদন আমাদের দিতে। সেই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পরে এনবিআর ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করা যায় কি না আমরা সে বিষয়ে আলোচনা করবো।
তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি, এই তদন্ত কমিটিতে এনবিআরের অন্তর্ভুক্তিটা বেশি জরুরি। কী ধরনের পণ্য এখানে আসা-যাওয়া করে, আমরা কিন্তু শুধু হ্যান্ডেলিং করি। এখানে ডিক্লিয়ারেশনটা কাস্টমসের কাছে দিতে হয়—আমি এ ধরনের পণ্য নিয়ে আসছি বা পাঠাচ্ছি। এটা আমরা পরে জানতে পারি।
তিনি আরো বলেন, এখানে ডেঞ্জারাস যে গুডস, এটা তারা ডিক্লিয়ার করেছে কি না। যদি করে থাকে তাহলে আলাদা মেজার নেওয়ার বিষয় আছে এবং এ ধরনের প্রাইভেট যে কনটেইনার ডিপোগুলো আছে সেখানে যে প্রস্তুতিগুলো থাকা দরকার, যে জনবল থাকা দরকার সেগুলো আছে কি না। থাকলে সেগুলো কাজ করল না কেন? নিশ্চিতভাবেই এগুলো থাকার কথা, তা না হলে তারা অনুমোদনই পাবে না। তাহলে কেন তারা কাজ করল না, এতগুলো হতাহতের ঘটনা ঘটে গেল। এগুলো আমাদের তদন্তের বেরিয়ে আসবে।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, এই মুহূর্তে পুরোপুরিভাবে বলা সম্ভব নয় আসলে এখানে কী ঘটনা ঘটেছে, দায়টা কার। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পরে বলা যাবে এবং তখন আমরা আমাদের ব্যবস্থা নেব।
কর্তৃপক্ষ সঠিকভাবে ব্যবস্থা নিতো তাহলে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটতো না মন্তব্য করে তিনি বলেন, আইএমডিজি নীতিমালা ও আইএসপিএস যে কোড আছে, সে অনুযায়ী কনটেইনার ডিপো পরিচালনা করার কথা। যদি এ দুটি নীতিমালা ও কোড অনুসরণ করে যদি তারা পরিচালনা করে তাহলে এ ধরনের দুর্ঘটনা হওয়ার কোনো কারণ নেই।
এ ঘটনায় মামলা হবে কি না- এ বিষয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন আসুক, এতগুলো মানুষ মারা গেলো, মামলা তো হবেই।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :