ঢাকা : মর্টারশেল ও বোমার পর এবার মিয়ানমার থেকে ছোড়া গুলি এসে পড়েছে বাংলাদেশে। তবে এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড তমব্রু ঘোনার পাড়া এলাকায় একটি গুলি এসে পড়ে।
এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ২ দেশের মধ্যবর্তী শূন্যরেখার আশ্রয় শিবিরে বসবাস করা ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা। ওয়ালিডং পাহাড়ের পাদদেশে শূন্যরেখার ভূখণ্ডে ৫ বছর আগে গড়ে তোলা হয় ওই আশ্রয় শিবির। সেখানে রোহিঙ্গাদের খাবার ও ত্রাণসহায়তা দেয় আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আরাকান আর্মি ও মিয়ানমার নিরাপত্তাবাহিনীর মধ্যে তুমুল গুলিবর্ষণ ও সংঘর্ষ চলছে। শুক্রবারও ঘুমধুম ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাইশফাঁড়ী বিজিবি বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ৩৬ এর বিপরীতে আনুমানিক তিন কিলোমিটার পূর্ব-দক্ষিণে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আনুমানিক ৪০০-৫০০ রাউন্ড ক্ষুদ্রাস্ত্র ফায়ারের শব্দ ও ২০-২৫টি মর্টার শেল ফায়ারের শব্দ শোনা যায়। এরমধ্যে সন্ধ্যার দিকে ২ নম্বর ওয়ার্ড তমব্রু ঘোনার পাড়া এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্রের একটি গুলি এসে পড়ে। এতে স্থানীয়দের মধ্যে ফের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গতকাল বন্ধ থাকার পর আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ফের গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল। পরে সন্ধ্যার দিকে তমব্রু ঘোনার পাড়া এলাকায় ক্ষুদ্রাস্ত্রের একটি গুলি এসে পড়ার খবর জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে এতে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
গত ২৮ আগস্ট মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নিক্ষিপ্ত দুটি মর্টার শেলের গোলা একই ইউনিয়নের তুমব্রু উত্তরপাড়া জামে মসজিদ এলাকায় এসে পড়েছিল। গোলাগুলো বিস্ফোরিত না হওয়ায় তখন কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
পরে ৩ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯টায় যুদ্ধবিমান থেকে ফায়ার করা দুটি বোমা ৮ নম্বর ওয়ার্ডের রেজু আমতলী বিজিবি বিওপি আওতাধীন সীমান্ত পিলার ৪০-৪১ এর মাঝামাঝি এলাকায় পতিত হয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :