লালমনিরহাট : গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, শীঘ্রই লালমনিরহাটের পরিত্যক্ত দিনহাটা-মোগলহাট স্থলবন্দরটি পুনারায় চালু করা হবে। ইতিমধ্যে সীমান্তবর্তী মোগলহাটে বন্ধ থাকা কাস্টমস চেকপোস্ট ও স্থলবন্দরটি পুনরায় চালুর প্রক্রিয়া চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাস থেকে শুরু হয়েছে।
রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে লালমনিরহাট চেম্বার অব কর্মাস ইন্ডাস্ট্রি এবং লালমনিরহাট পৌরসভার যৌথ আয়োজনে চেম্বার ভবনের সম্মেলন কক্ষে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মোগলহাট বন্দর দিয়ে ভুটান-ভারত-বাংলাদেশের ব্যবসা বাণিজ্যের দ্বার উন্মোচন করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে ইতিমধ্যে ভারতের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে ভারতের সাথে যোগাযোগ ও ব্যাবসা বাণিজ্যের সম্প্রসারণের জন্য মোগলহাট-দিনহাটা বন্দর পুনরায় চালু করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, উত্তরবঙ্গ দেশের শস্য ভান্ডার এই এলাকার কৃষি পন্যকে রিভাইন করে উচ্চ মুল্যে বাজারজাত করলে এ জেলার আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হবে। ইতোমধ্যে এ জেলায় ইকোনোমিক জোন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এভিয়েশন এন্ড এরোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয়, আর্মি এভিয়েশন নিয়ে ব্যাপক কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মোগলহাট স্থলবন্দরটি লালমনিরহাটের ব্যবসায়ীদের যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার ব্যবসায়ীদেরও। উভয় দেশের ব্যবসায়ীদের যৌথভাবে আরও জোরদার বৈঠক করতে হবে। এ রুটটি পুনরায় চালু করতে ধরলা নদীর ভাঙনরোধ ও নদী শাসন করতে হবে।
লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, পৌর মেয়র রেজাউল করিম স্বপনসহ চেম্বারের নেতৃবৃন্দ ও পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এসময় পৌরসভা ও চেম্বার অব কর্মাসের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে সম্মামনা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৮৮ সালের বন্যায় ধরলা নদীর ওপর রেলসেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হলে মোগলহাট স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এরপরে ১৯৯৫ সালে পূর্ণাঙ্গ ভাবে স্থলবন্দরটি বন্ধ হয়ে পরে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :