ঢাকা : ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে মহেশখালীর দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল শুক্রবার রাত ১১টা থেকে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ফলে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা অঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। গ্যাস সংকটে শনিবার দিনভর বাসিন্দাদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়।
এদিকে গ্যাসচালিত চারটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ বা আংশিক চালু থাকায় শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে ঘন ঘন লোডশেডিং হয়েছে। রাজধানীর সিএনজি স্টেশন ও বাসাবাড়িতেও ছিল গ্যাসের সংকট। সিএনজি স্টেশনগুলোতে গ্যাসের জন্য গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গেছে।
শনিবার (১৩ মে) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন গ্রাহকরা। অভিযোগ জানিয়ে অনেকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্টও দেন। এদিন ঢাকায় সরকারি অফিস বন্ধ থাকার পরও ২-৩ ঘণ্টা পর পর লোডশেডিং করেছে বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো। একই সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সিএনজি স্টেশন ও বাসাবাড়িতে গ্যাসের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। প্রতিটি সিএনজি স্টেশনে গ্যাসের জন্য গাড়ির লম্বা লাইন দেখা গেছে। সিএনজি স্টেশনের কর্মীরা জানিয়েছেন গ্যাসের চাপ কম থাকায় গাড়িতে দ্রুত গ্যাস দেওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে দীর্ঘ লাইন জমে যায়।
শনিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মোখার প্রভাবে চট্টগ্রাম, মেগনাঘাট, হরিপুর ও সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকায় গ্যাস চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ বা আংশিক চালু থাকতে পারে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাময়িক এই অসুবিধার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। বলেছেন, অতিদ্রুত গ্যাস-বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হবে।
একইসঙ্গে তিনি বৈদ্যুতিক ছেঁড়া তার স্পর্শ না করে নিকটস্থ বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করার জন্য গ্রাহকদের প্রতি বিশেষভাবে অনুরোধ করেন।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখার পাশাপাশি সতর্কতামূলক নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতাও ক্ষয়ক্ষতি কমাতে বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় নিরাপদ থাকতে যা যা করা যেতে পারে-
১. আগামী দুদিনের জন্য আজ দুপুরের মধ্যে খাবার রান্না করুন।
২. জিপ ব্যাগ বা মজবুত পলি ব্যাগে পানি রাখুন এবং বরফ তৈরি করতে ডিপ ফ্রিজারে সংরক্ষণ করুন। দীর্ঘসময় বিদ্যুৎ না থাকলে, এই বরফ ব্যাগগুলো কিছু সময়ের জন্য ফ্রিজারের তাপমাত্রা কম রাখতে সাহায্য করবে।
৩. নিশ্চিত করুন যে আপনার সমস্ত চার্জার লাইট সম্পূর্ণরূপে চার্জ করা আছে। আপনার আইপিএস থাকলে, ব্যাটারির পানির স্তর পরীক্ষা করে নিন।
৪. কিছু মোমবাতি ও একটি লাইটার কিনে রাখুন।
৫. আপনার ভবনের সুপারভাইজারকে জেনারেটরের জন্য ডিজেল সংরক্ষণ করতে বলুন।
৬. আপনার গাড়ির ট্যাঙ্ক পেট্রোল/সিএনজি দিয়ে পূর্ণ রাখুন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :