ঢাকা : চা শিল্পের উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সবাই শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে- এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আমি প্রত্যাশা করি, চা শিল্পের উন্নয়ন ও দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যে চা বাগান মালিক ও বিপণনকারীসহ সবাই শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করবে এবং আন্তরিকভাবে কাজ করে এ শিল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
রোববার (৪ জুন) জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে শনিবার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এ প্রত্যাশা প্রকাশ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে উত্তরবঙ্গে চা শিল্পের প্রসারের জন্য উদ্যোগ নেয়। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বৃহৎ বাগানের পাশাপাশি উত্তরাঞ্চলের পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর ও রংপুর জেলার প্রায় ১২ হাজার একর জমিতে ক্ষুদ্র পরিসরে চা চাষ হচ্ছে। প্রতিবছর এ অঞ্চলের বাগানগুলো চা উৎপাদনের অতীত রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। শুধু দেশের উত্তরাঞ্চলে ২০২২ সালে রেকর্ড পরিমাণ ১৭ দশমিক ৭৮ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৪ জুন প্রথম বাঙালি হিসেবে চা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে যোগদান করে বাঙালি জাতিকে সম্মানিত করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় দেশের চা শিল্পে অসামান্য অবদান রাখেন। তার প্রত্যক্ষ দিক-নির্দেশনায় ১৯৫৭ সালে শ্রীমঙ্গলে চা গবেষণা ইনস্টিটিউট ও ঢাকার মতিঝিলে চা বোর্ডের কার্যালয় স্থাপিত হয়। জাতির পিতা চা শ্রমিকদের শ্রমকল্যাণ যেমন– বিনামূল্যে বাসস্থান, সুপেয় পানি, প্রাথমিক শিক্ষা ও রেশন প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাগান মালিকদের নির্দেশনা দেন। তিনি চা শ্রমিকদের বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে স্বীকৃতি দেন ও ভোটাধিকার প্রদান করেন। চা শিল্পে জাতির পিতার অবদান এবং চা বোর্ডে যোগদানের তারিখকে স্মরণীয় করতে ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতীয় চা পুরস্কার নীতিমালা-২০২২ এর আলোকে এ বছর জাতীয় চা দিবসের অনুষ্ঠানে প্রথমবারের মতো 'জাতীয় চা পুরস্কার' প্রদানের উদ্যোগকে আমি সাধুবাদ জানাই। এটি চা বাগান মালিক, চা শ্রমিক, চা রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অণুপ্রেরণা জোগাবে বলে আমার বিশ্বাস।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :