ঢাকা: সচিবালয়ের সাথে পদবি ও বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদ। শুক্রবার (৯ জুন) বিকাল ৩ টায় শিক্ষা ভবন, ঢাকার কর্মচারি সমিতির কার্যালয়ে সংগঠনের জরুরী সভায় এ দাবি জানানো হয়েছে।
সভায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতারাসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও স্বায়ত্ত শাসিত প্রতিষ্ঠানের সংগঠনের প্রতিনিধি, প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী, সমপদ ও উক্ত পদের ফিডার পদের কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
সংগঠনের মহাসচিব আবু নাসির খান বলেন, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ভিতরে ও বাহিরে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের প্রধান সহকারী, উচ্চমান সহকারী, সহকারী বিভিন্ন পদের পদবি ও বেতন স্কেল এক ও অভিন্ন হওয়া সত্তেও তৎকালীন সরকার ১৯৯৫ সালের প্রজ্ঞাপন জারী করে শুধুমাত্র সচিবালয়ের বর্ণিত পদগুলো আপগ্রেড করে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদবি পরিবর্তনসহ ১০নং গ্রেডে উন্নীত করে। ফলে সরকারি দপ্তরগুলোর মধ্যে পদবি ও বেতন বৈষম্যের সৃষ্টি হয়। এরই ধারাবাহিকতায় পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, গণভবন, বঙ্গ ভবনে বর্ণিত পদগুলোও আপগ্রেড করা হয়েছে, কিন্তু অন্যান্য দপ্তরের বর্ণিত পদগুলো অদ্যাবধি পূর্বের ন্যায় রয়ে গেছে। অনতিবিলম্বে তারা এই পদবি বৈষম্যের অবসান চান।
মহাসচিব বলেন, ইতোমধ্যে সরকার উচ্চমান সহকারী, প্রধান সহকারীর সমস্কেল ও নিম্ন স্কেলের কর্মচারীদের মধ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ব্লক সুপার ভাইজার, ডিপ্লোমা প্রকৌশলী, পুলিশের এসআই, নার্স, অডিটর ও খাদ্য পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদসমূহ ২য় শ্রেণির পদমর্যাদায় উন্নীত করা হলেও অন্যান্য দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তর, স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা ও কর্পোরেশনের সমপদসমূহ উন্নীত না করায় দীর্ঘ ২৭ বছর যাবত তারা বঞ্চিত রয়েছে। অপেক্ষাকৃত কম শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের উচ্চপদে আসীন হওয়ায় পরবর্তী প্রজন্ম উচ্চশিক্ষা গ্রহণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে।স্বাধীন দেশে এরুপ পদবী ও বেতন বৈষম্য দেশের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধসহ সংবিধান লংঘিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, এতদবিষয়টি বাস্তবায়নের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের নির্দেশনা, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৩২ ও ৩৩ তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত ও ৮ম জাতীয় পে-কমিশনের সুপারিশ রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবিষয়ে অন্যান্য সকল মন্ত্রণালয়ের সুপারিশসহ তথ্য সংগ্রহ করার পরও সরকারের সিদ্ধান্ত আড়াল করে বিষয়টি বাস্তবায়ন করছে না, শুধু পত্র চালাচালির মাধ্যমে কালক্ষেপন করছে। বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন না করলে তারা সচিবালয়ের সাথে পদবী ও বেতন বৈষম্য নিরসনসহ নবম বেতন স্কেল প্রদানের দাবীতে কর্ম বিরতীর কঠোর কর্মসুচি ঘোষণা করে দাবী বাস্তবায়নে বাধ্য করা হবে।
সরকারি কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা বাংলাদেশ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাস্তবায়ন ঐক্য পরিষদের দাবির সাথে একাত্মতা ও সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন এবং অনতিবিলম্বে তাদের ন্যায্য দাবি বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
অন্যান্য নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মো. বেল্লাল হোসেন, লুৎফর রহমান, মোহাম্মদ জাকির হোসেন, সঞ্জয় বনিক, ইসলাম খান, আশিকুর রহমান, মামুন অর রশিদ, জামাল হোসেন, মো. মাসুদ খান প্রমুখ।
সোনালীনিউজ/আইএ
আপনার মতামত লিখুন :