ঢাকা: সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলামের আদালত চার্জগঠনের আদেশ দেন। এর মধ্যে দিয়ে মামলাটির বিচারকাজ শুরু হলো।
২০২০ সালের ৯ নভেম্বর রাজধানীর আদাবর থানা এলাকার মাইন্ড এইড হাসপাতালে নির্যাতন করে হত্যার অভিযোগ তুলে খুনের মামলা করেন আনিসুলের বাবা ফাইজুদ্দীন আহম্মেদ।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক (নিরস্ত্র) এ কে এম নাসির উল্যাহ জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রেজিস্ট্রার আবদুল্লাহ আল মামুনসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
আসামিরা হলেন- আরিফ মাহমুদ জয়, মাসুদ খান, জোবায়ের হোসেন, তানভির হাসান, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসিম কুমার পাল, লিটন আহম্মেদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ, রেদুওয়ান সাব্বির ওরফে সজিব, ডা. আব্দুল্লাহ আল আমিন, সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন, মোছা. ফাতেমা খাতুন ময়না। এদিকে আসামি মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ মৃত্যুবরণ করায় ও আসামি ডা. নুশরাত ফারজানার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি দানের আবেদন করা হয়।
গত ২৪ জুলাই রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন চেয়ে শুনানি করেন। অপরদিকে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক এ বিষয়ে আদেশের জন্য গত ২৭ আগস্ট দিন ধার্য করেন। ওইদিন বিচারক ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত বিচারক লুৎফর কবির নয়ন চার্জগঠনের শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
আনিসুল করিম ৩১তম বিসিএস পরীক্ষায় পুলিশ ক্যাডারে প্রথম স্থান অধিকার করেছিলেন। তিনি সর্বশেষ বরিশাল মহানগর পুলিশে সহকারী পুলিশ কমিশনার (এএসপি পদমর্যাদা) হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়ায়। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র ছিলেন আনিসুল করিম।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :