ঢাকা: ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতাকে থানায় নিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশিদকে নিয়ে এখনও চলছে নানা আলোচনা। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন তিনি ও তার পরিবার বিএনপি-জামায়াত সমর্থক। এবার এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন হারুনের বাবা।
জানা গেছে, হারুনের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের থানাঘাটা গ্রামে। তার বাবা জামালউদ্দীন গাজীর বাড়ি ছিল বালিয়াখালী গ্রামে। তবে ছেলেদের জন্মের আগ থেকে তারা থানাঘাটা গ্রামে বসবাস শুরু করেন। জামালউদ্দীন গাজী মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন। বর্তমানে তিনি অবসরপ্রাপ্ত। হারুনের মা শেফালী বেগম একজন গৃহিণী।
বাবার কর্মস্থল মাড়িয়ালা মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন হারুন। পরে সাতক্ষীরা ও ঢাকায় পড়াশোনা করেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সময় ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির (টিপু-বাদশা কমিটি) বন ও পরিবেশবিষয়ক উপসম্পাদক ছিলেন হারুন। তার ছোট ভাইয়ের নাম শরীফুল ইসলাম। তিনি সাইফুর রহমান সোহাগের নেতৃত্বাধীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়াবিষয়ক উপ-সম্পাদক ছিলেন। শরীফুল বর্তমানে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন কর্মকর্তা। তবে তার পরিবারের আর কেউ সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন।
হারুনের বাবা জামালউদ্দীন গাজী বলেন, ‘আমাদের পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আমার দুই ছেলে সরাসরি ছাত্রলীগের রাজনীতি করত। ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠার পর থেকে একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। মূলত গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি ও আমার ছোট ছেলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবু হেনা সাকিলের পক্ষে থাকায় বর্তমান স্বতন্ত্র চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের জামায়াত বানানোর অপচেষ্টা করছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক। অনেক কষ্টে ছেলেদের পড়াশোনা শিখিয়েছি। এলাকায় আমাদের একটি বাড়ি ছাড়া অঢেল সম্পত্তি নেই। বর্তমানে আমরা ঢাকায় অবস্থান করছি। বাড়িতে তালা দিয়ে এসেছি। ছেলের বিপদের সময় যারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা কথা বলে অপপ্রচার করছে তাদের বিরুদ্ধে আল্লাহর কাছে বিচার দিলাম।’
উল্লেখ্য, এডিসি হারুনের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিভিন্ন মন্তব্য দেখা গেছে। অনেকই বলছেন তিনি জামায়াত-বিএনপির কর্মী। তবে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের দাবি, হারুন ও তার ভাই ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
তবে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী একটি ফেসবুক পোস্টে দাবি করেন, এডিসি হারুন ছাত্রদলকর্মী ছিলেন এবং তার পরিবারের সদস্যরা বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :