ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাঙ্গায় যাবেন ১১ জন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক  | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ১০, ২০২৩, ১০:৩৮ এএম
ট্রেনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ভাঙ্গায় যাবেন ১১ জন

ঢাকা: আর মাত্র কিছুক্ষণের অপেক্ষা।আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চলাচলের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরই মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্ত থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গায় যাবেন প্রধানমন্ত্রী। এই সফরে ট্রেনে তার সঙ্গী হবেন বিভিন্ন পেশার ১১ যাত্রী। এ সময় প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে কথা বলবেন এবং তাদের অভিব্যক্তি জানবেন। 

প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের মধ্যে গার্মেন্টসকর্মী, হকার, বাসচালক, সবজি বিক্রেতা, ছাত্রী, নারী উদ্যোক্তা, মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। তারা সবাই ফরিদপুরের স্থায়ী বাসিন্দা। তারা ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বহরে যুক্ত হয়ে মাওয়া থেকে ট্রেনে ভাঙ্গায় আসবেন।

প্রধানমন্ত্রীর সফরে যারা ট্রেনযাত্রায় সঙ্গী হবেন, তারা হলেন- বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক জেলা কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহ নেওয়াজ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ, সবজি বিক্রেতা হেলালউদ্দিন, গার্মেন্টস কর্মী রেখা বেগম, হকার রহিম শেখ, বাসচালক সুলতান আহমেদ, খ্রিস্টান মিশনের পালক সাথী চক্রবর্তী, আদর্শ পেঁয়াজ বীজ চাষি সাহিদা বেগম, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী স্বর্ণজিৎ ঘোষ, নুসরাত জাহান ও মাদ্রাসা ছাত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চাওয়া অনুযায়ী ফরিদপুরের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ১১ ব্যক্তিকে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে তাদেরকে ঢাকায় পাঠানো হবে। পরে তারা ঢাকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর বহরে যুক্ত হয়ে ফরিদপুরে আসবেন। 

এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ট্রেনযাত্রা প্রসঙ্গে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আমিনুর রহমান ফরিদ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি, দেশ স্বাধীনের পর যে অনুভূতি ছিল ঠিক তেমনি প্রথমবারের মতো পদ্মা সেতুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পাড়ি দেব এটা ভাবতে অবাক লাগছে।’

গার্মেন্টসকর্মী রেখা বেগম বলেন, ‘আমি সামান্য, খুব নগণ্য নারী। কীভাবে এই সুযোগ পেলাম জানি না। মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তিনি যেন প্রধানমন্ত্রীকে দীর্ঘ হায়াত দান করেন।’

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-ভাঙ্গা রেল চলাচলের উদ্বোধন করবেন। এরপর দুপুর ২টার দিকে ভাঙ্গা ডা. কাজী আবু ইউসুফ স্টেডিয়ামে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য রাখবেন।

এর আগে সবশেষ ২০১৭ সালের ২৯ মার্চ ফরিদপুর শহরের রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে জনসভায় বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা। প্রায় সাড়ে ছয় বছর পর তিনি আবার ফরিদপুরে জনসভায় অংশ নিচ্ছেন।

এমএস

Link copied!