অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ১৬, ২০২৩, ১২:৩৩ পিএম
অবাধ ও স্বচ্ছ নির্বাচন দেখতে চায় ইইউ

ঢাকা : আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ হবে– এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ সফররত ইইউর শ্রমবিষয়ক প্রতিনিধিরা।

বুধবার (১৬ নভেম্বর) সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তারা এই প্রত্যাশার কথা জানান।

বৈঠকে পোশাক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি কাঠামো ও ইইউর ‘জিএসপি প্লাস’ প্রকল্পে বাংলাদেশের পোশাক খাতকে অন্তর্ভুক্তির বিষয়েও আলোচনা হয়।

এদিকে ইইউর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আর্থসামাজিক অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে ইতিবাচক অগ্রগতি হলেও শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার প্রশ্নে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে।

ইইউ প্রতিনিধিরা বুধবার (১৬ নভেম্বর) রাজধানীর মিন্টো রোডে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব এহছানে এলাহীর সঙ্গে বৈঠক করেন। তিন ঘণ্টার বৈঠকে ইইউর ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সংস্থার এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় বিভাগের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা প্যাম্পালোনি। ঢাকায় ইইউর রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে ইইউ প্রতিনিধিরা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেননি। তবে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে তারা একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আসন্ন সংসদ নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছ  হবে– এমন প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের মজুরির বিষয়ে ইইউ প্রতিনিধিরা বৈঠকে বলেছেন, এখনও অনেক শ্রমিক কাজে ফেরেননি। এ বিষয়ে তারা একটি সমাধান আশা করেন।’ বৈঠকে শ্রম অধিকার ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘তারা মনে করেন, শিশুশ্রম, ট্রেড ইউনিয়ন ও কর্মপরিবেশ উন্নয়নের আরও সুযোগ রয়েছে।’ মতপ্রকাশ ও সভা-সমাবেশের স্বাধীনতার বিষয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মাসুদ বিন মোমেন জানান, ইইউতে ‘জিএসপি প্লাস’ সুবিধা কীভাবে পাওয়া যায়, সে বিষয়ে বৈঠকে কথা হয়েছে। তবে শ্রম খাতের সংস্কার-সংক্রান্ত জাতীয় কর্মপরিকল্পনার অগ্রগতি নিয়েই বেশি আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কে ইইউ প্রতিনিধি দলকে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘শ্রম খাতের উন্নয়নে শুধু আইন সংশোধন নয়, একই সঙ্গে গৃহীত পদক্ষেপ বাস্তবায়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আগামী মার্চে এ বিষয়ে পরবর্তী বৈঠক হবে।’

বাংলাদেশে শ্রম খাতের অগ্রগতি দেখতে গত রবিবার (১২ নভেম্বর) ঢাকায় আসে ইইউ প্রতিনিধি দলটি। আজ বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) তাদের ঢাকা ছাড়ার কথা রয়েছে।

এমটিআই

Link copied!