ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল জানিয়েছেন, অবাধ ও সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রে কারচুপি, অনিয়ম ও পেশিশক্তি ঠেকাতে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেছেন, যে কোনো মূল্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ এবং শান্তিপূর্ণ করা হবে। কোনো রকমের বিশৃঙ্খলা যেন না হয়, পরিবেশ যেন অনুকূল থাকে ও ভোটাররা যেন উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনভাবে কেন্দ্রে এসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন- এই বার্তাটা কঠোরভাবে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার সকালে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা এবং ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ ও রাজবাড়ী জেলার ডিসি, এসপি, ইউএনও এবং ওসিদের সঙ্গে বৈঠক করেন সিইসি। যশোরে শেখ হাসিনা আইসিটি পার্ক অডিটোরিয়ামে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে প্রেস বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, আমরা কেউ ভোটকেন্দ্রের ভেতরে থাকব না। ভেতরে থাকবে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা, পোলিং কর্মকর্তারা। ভোটকেন্দ্রের ভেতরে যেন কোনো অনিময়, কারচুপি, দখলদারিত্ব, কোনো রকমের পেশিশক্তির প্রয়োগ না হয়, সেই বিষয়ে তাদের ব্যাপকভাবে প্রশিক্ষণ ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনের সচিব জাহাঙ্গীর আলম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার হেলাল মাহমুদ শরীফ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক, যশোরের জেলা প্রশাসক আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার প্রমুখ।
বৈঠকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও ঢাকা বিভাগের ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ এবং রাজবাড়ী জেলার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, বিজিবি ও আনসার বাহিনীর ২৯০ জন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে সিইসি যশোরের ছয়টি আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। সেখানে হাবিবুল আউয়াল অবাধ ও সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটগ্রহণ হবে বলে নিশ্চয়তা দেন।
সভায় অংশ নেওয়া যশোর-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলম বাচ্চু জানিয়েছেন, তারা সিইসিকে খুলনা বিভাগের বিভিন্ন আসনে তাদের প্রার্থীদের প্রচারণায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। হামলা-বাধার ঘটনা ঘটলে খুলনা বিভাগের সব আসন থেকে লাঙ্গলের প্রার্থীরা একযোগে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান তিনি।
এআর
আপনার মতামত লিখুন :