ঢাকা: উন্নত দেশে বসবাসরত শিক্ষিত মানুষদের চেয়ে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা গরিব মানুষেরাই বেশি রেমিটেন্স পাঠিয়ে থাকেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রবাসী দিবসের আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
‘প্রবাসীর কল্যাণ, মর্যাদা-আমাদের অঙ্গীকার/স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ায় তারাও সমান অংশীদার' প্রতিপাদ্য নিয়ে প্রথমবারের মতো এদিন উদযাপিত হয় জাতীয় প্রবাসী দিবস।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠান হয়।
এখন থেকে প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস পালন করা হবে বলে জানান প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে আমাদের মাত্র দেড় পারসেন্ট প্রবাসী আছেন। কিন্তু এই গরিব লোকেরাই আমাদের বেশি রেমিটেন্স পাঠান। যারা একটু শিক্ষিত, উন্নত দেশে আছেন- তারা অনেক সময় কম টাকা-পয়সা পাঠান। আশা করি, ভবিষ্যতে সুযোগ-সুবিধা থাকলে তারাও হয়তো দেশে বিনিয়োগ করবেন।"
প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ করে তুলতে পারলেই বিদেশে আরও মর্যাদার সঙ্গে বাংলাদেশি প্রবাসীরা কাজ করতে পারবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ২০০৯ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দেশে প্রতি বছর গড়ে ১৭ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্সে এসেছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এই পরিমাণ ছিল ২১ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।
“এ রেমিটেন্স খুব বেশি না। আমরা রেমিটেন্সের হিসাবে সপ্তম স্থানে আছি। ভারত, মেক্সিকো এবং ফিলিপাইন আমাদের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তার কারণ হলো তারা ‘ওয়েল ট্রেইনড’।”
দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে উল্লেখ করে মোমেন বলেন, “দেশের বিভিন্ন জেলায় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করা হয়েছে। বিদেশে কাজ করতে গেলে কাজের দক্ষতার পাশাপাশি ভাষা জানাটা খুব জরুরি।”
প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
প্রবাসী কল্যাণ সচিব বলেন, “২০১৭ সালে প্রবাসী দিবস পালন করা হয়, তখন দাবি উঠে দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের। গত বছর দিবসটি রাষ্ট্রীয়ভাবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। এখন থেকে প্রতি বছর ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় প্রবাসী দিবস পালন করা হবে।”
বিদেশের সব মিশনেও দিবসটি পালন করা হচ্ছে জানিয়ে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, “মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনে প্রবাসীরা বিশেষ অবদান রেখেছে। প্রবাসীদের সম্মান জানাতে এ দিবস বিদেশের সকল মিশনে পালন করা হচ্ছে।”
ওয়াইএ
আপনার মতামত লিখুন :