ঢাকা : সমসাময়িক ও ভবিষ্যত নিরাপত্তা নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার প্লাটফর্ম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন। এ বছর বিশ্বের অন্যতম এ ফোরামের ৬০ তম আসর অনুষ্ঠিত হবে ১৬-১৮ ফ্রেবুয়ারি।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি ) জার্মানির উদ্দ্যেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে জিতে টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর এটিই হবে প্রধানমন্ত্রীর প্রথম বিদেশ সফর।
আসন্ন সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে বাংলাদেশের অবস্থা তুলে ধরা হবে এবং এ সম্মেলনে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী নিরাপত্তা নিয়েও আলোচনা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিশেষ করে, প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারের চলমান সংঘাত বাংলাদেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কী প্রভাব ফেলছে তা আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানা যায়, সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেইনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ছাড়াও দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শোলজ, নেদারল্যান্ডসের প্রধানমন্ত্রী মার্ক রাটা ও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী মেতে ফ্রেডেরিকসেনের সাথে।
পাশাপাশি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকর, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, জার্মানির আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এবং উন্নয়ন বিষয়কমন্ত্রী ভেনজা শুলজ, বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এক্সেল ভ্যান ট্রটসেনবার্গ এবং মেটা’র গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স প্রেসিডেন্ট স্যার নিক ক্লেগের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের কথা রয়েছে।
অন্যদিকে জলবায়ুর পরিবর্তনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান থাকায় এ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবেন।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনের আলোচনার বিষয় নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাসান মাহমুদ বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের পূর্ণ অধিকার দিয়ে নিজ দেশে দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের কারণে আমাদের দেশে যে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে এবং চলমান সীমান্ত পরিস্থিতির কারণেও আঞ্চলিক নিরাপত্তায় ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা এ সম্মেলনে উপস্থাপন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, এ সম্মেলনে বৈশ্বিক নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করব এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পৃথিবীর যে চলমান সংঘাতগুলো, সেগুলো বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বৈশ্বিক নিরাপত্তা যখন হুমকির মুখে পড়ে, তখন বৈশ্বিক স্থিতি, অগগ্রতি ও উন্নতি—সেগুলোও হুমকির মুখে পড়ে। সুতরাং এ বিষয়গুলো সার্বিকভাবে আলোচনা করা হবে।
এছাড়া জার্মানির চ্যান্সেলরের সাথে জার্মানিতে রপ্তানি বাড়ানো, দক্ষ জনশক্তি পাঠানো বাড়ানো—এগুলো নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তাছাড়া, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে জার্মানির সহযোগিতা চাওয়া যেতে পারে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা খাতের অনেক ইস্যুর সমাধান হবে বলে আশা করা যায়।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :