লাশ কাটার পারিশ্রমিক ৬৫ টাকা, বাড়ানোর আশ্বাস মন্ত্রীর

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ৫, ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
লাশ কাটার পারিশ্রমিক ৬৫ টাকা, বাড়ানোর আশ্বাস মন্ত্রীর

ঢাকা: হাসপাতালের ডোমঘরে একটি লাশ কাটার জন্য মাত্র ৬৫ টাকা দেওয়া হয়। ডোমদের এই পারিশ্রমিক বাড়ানোর প্রস্তাব জানিয়েছেন জেলা প্রশাসকরা।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহার হোসেন জানিয়েছেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে পাঠানো প্রস্তাবে একজন ডিসি বলেছেন, তাদের (ডোম) টাকাটা বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক। একজন ডোম থাকেন এবং তিনি পুরুষ। যখন নারীর মরদেহ আসে তখন তার জন্য নারী ডোম থাকার প্রয়োজন। 

মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বিকেলে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য-অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এসব কথা জানান।

জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহার হোসেন।

এমন প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে ফরহাদ হোসেন বলেন, খুবই চমৎকার প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি, বলেছি যে বিষয়টি অবশ্যই দেখবো কীভাবে বাড়ানো যায়।

এসময় ছোট ভুলের জন্য সারাদেশে কর্মকর্তারা যেন বিব্রত না হন, সে বিষয়ে জেলা প্রশাসকদের সতর্ক করা হয়েছে বলেও জানান জনপ্রশাসন মন্ত্রী।

মন্ত্রী বলেন, জেলা প্রশাসকরা আমাদের কাছে ১৩টি প্রস্তাব পাঠায়। তার উত্তর আমরা দিয়েছি। তাৎক্ষণিকভাবে আরও ১২টি প্রশ্ন তারা করেছিল। একজন ডিসি বলেছেন, আমাদের হাসপাতালে যে ডোম থাকে একটা লাশ কাটার জন্য মাত্র ৬৫ টাকা দেওয়া হয়। তাদের টাকাটা বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিক। একজন ডোম থাকেন এবং তিনি পুরুষ। যখন নারীর মরদেহ আসে তখন তার জন্য নারী ডোম থাকার প্রয়োজন। খুবই চমৎকার প্রশ্ন করেছেন। আমরা উত্তর দিয়েছি, বলেছি যে বিষয়টি অবশ্যই দেখবো কীভাবে বাড়ানো যায়।

তিনি বলেন, সার্কিট হাউজে নৈশপ্রহরীর নিরাপত্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন, আমরা উত্তর দিয়েছি।

এবারের জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর প্রথম জেলা প্রশাসক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাদের কাছে প্রধানমন্ত্রী খুব চমৎকারভাবে বার্তাগুলো দিয়েছেন। আমরা আলোচনা করেছি মানসম্মত সেবাটা কীভাবে নিশ্চিত করতে পারি। আমরা চাচ্ছি সেবার মান আরও কীভাবে বাড়াতে পারি।

তিনি বলেন, আমাদের অভিযোগের জায়গাগুলো পয়েন্ট আউট করেছি। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচের তলায় বিআরটিএর অফিস আছে এবং সে অফিসে দুর্নীতি আছে, জেলা প্রশাসক জানেন না। আমি বলেছি যে প্রত্যেকটা বিষয় আমাদের খোঁজখবর রাখতে হবে। আমাদের মনিটরিং বাড়াতে হবে। যে জায়গাগুলোতে অভিযোগ আছে সেই জায়গাগুলোয়।

‘আমরা তাদের (ডিসি) বলেছি যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে আমাদের পরিদর্শন আরও বাড়াতে হবে যাতে করে আমাদের লেখাপড়ার মান আরও উন্নত করতে পারি। মফস্বল এবং ইউনিয়ন, গ্রাম সব জায়গায়। হাসপাতালের পরিতদর্শন বাড়াতে হবে’- বলেন ফরহাদ হোসেন।

তিনি বলেন, আমাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সেগুলো যেন নিবিড়ভাবে মনিটরিং করা হয়। এমনভাবে তা করতে হবে যেন সমস্যা তৈরি না হয়। মোবাইল কোর্ট থাকবে, কিন্তু কেউ যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

রেস্টুরেন্টে আগুন ও নিরাপত্তা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, একটা রেস্টুরেন্টে ১০-২০টি চুলা আছে। ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকে না। অনুমতি দেবেন বুঝেশুনে। সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি শতভাগ করতে হবে।

‘মার্চ-এপ্রিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বেশি ঘটে। এখন থেকে আমাদের সতর্কতা প্রয়োজন। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। কোনো কাস্টমার যদি কোথাও গিয়ে দেখেন যে সেখানে ঝুঁকি আছে, তারা যেন ৯৯৯ বা ৩৩৩-তে ফোন দেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানান তখন আমরা যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো’- বলেন তিনি।

আইএ

Link copied!