ঢাকা: দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ঢাকায় এসেছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে বিশেষ বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি।
বিমানবন্দরে কাতারের আমিরকে অভ্যর্থনা জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পরে রাষ্ট্রীয়ভাবেও তাকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
কাতারের আমিরের সফরকালে দুই দেশের মধ্যে ছয়টি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হবে বলে জানা গেছে। ছয়টি চুক্তি হলো দ্বৈতকর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি, সাগরপথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি, উভয় দেশের পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষাসংক্রান্ত চুক্তি, দুই দেশের দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বদলি সংক্রান্ত চুক্তি, যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি।
এ ছাড়া পাঁচটি সমঝোতা স্মারক হলো শ্রমশক্তিবিষয়ক সমঝোতা স্মারক, বন্দর পরিচালনা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক, যুব ক্রীড়াক্ষেত্রে সমঝোতা স্মারক, কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক।
কাতারের আমিরের সফর নিয়ে গতকাল রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘কাতার মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজার, যেখানে প্রায় চার লাখ বাংলাদেশি কর্মরত আছেন। এছাড়া বিপুল পরিমাণ সার্বভৌম তহবিল রয়েছে কাতারের এবং বাংলাদেশের জন্য সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের উৎস হতে পারে ওই তহবিল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জন্য জ্বালানি আমদানির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উৎস কাতার।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও কাতারের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, বন্ধুত্বপূর্ণ ও বহুমুখি। কাতার বঙ্গবন্ধুর সরকারকালীন সময়ে (১৯৭৪ সালে) বাংলাদেশকে স্বীকৃতিদানকারী অন্যতম মুসলিম রাষ্ট্র।’
সাম্প্রতিকালে কাতারের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে কূটনৈতিক, যোগাযোগ ও আলোচনার মাধ্যমে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা পরিধি সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, জ্বালানি, বিমান চলাচল, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি ক্ষেত্রচিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
কাতারের আমিরের নামে ঢাকায় একটি সড়কের নামকরণ হবে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকা উত্তরের মিরপুরের কালসি এলাকায় বালুর মাঠের নির্মিতব্য পার্ক এবং মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালসি উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে করা হবে।’
এমএস
আপনার মতামত লিখুন :