ঢাকা : বিনিয়োগ, কর্মসংস্থান, বন্দর ব্যবস্থাপনাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা এগিয়ে নিতে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারের সঙ্গে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারকে সই করেছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ঢাকার তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি এবং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে এসব চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
চুক্তিগুলো হল–
# আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি
# পারস্পরিক বিনিয়োগ উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি
# দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি রোধ চুক্তি
# সাগর পথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি
# দুই দেশের যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি
সমঝোতা স্মারকগুলো হল –
# কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক
# যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক
# শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
# উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতা বাড়াতে সমঝোতা স্মারক
# বন্দর ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক
শেখ তামিম মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।
একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন তারা। এরপর চামেলি হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কাতারের আমির শেখ তামিম।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর করবী হলে তাদের উপস্থিতিতে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে সই করেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ঘোষণা দেওয়া হয়, মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন কাতারের আমির।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন। বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় কাতারের আমিরকে।
ভূ-রাজনৈতিক অবস্থান এবং কূটনৈতিক মধ্যস্থতার কারণে কাতার মধ্যপ্রাচ্যের প্রভাবশালী দেশ হিসেবে পরিচিত। আরবের এ দেশ বাংলাদেশের অন্যতম শ্রমবাজারও, যেখানে প্রায় ৪ লাখ বাংলাদেশি কাজ করছেন। পেট্রোলিয়াম সমৃদ্ধ কাতার জ্বালানি আমদানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
এসব কারণে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এই সফরকে ‘বিনিয়োগের সম্ভাবনা’ হিসেবেই দেখছে সরকার। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশে ইকোনমিক জোন করে দেওয়ার জন্য কাতারের আমিরের কাছে প্রস্তাব রাখা হবে বলে আগেই জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।
আর গত দুই দশকের মধ্যে কাতারের কোনো আমিরের বাংলাদেশে এটিই প্রথম সফর। সবশেষ ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
শেখ তামিমের সঙ্গে শেখ হাসিনার বৈঠক : কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে একান্ত ও দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শেখ তামিম মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল সোয়া ১০টায় ঢাকার তেঁজগাওয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পৌঁছালে টাইগার গেটে তাকে ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানান শেখ হাসিনা। পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিমুল হলে একান্ত বৈঠকে বসেন দুই নেতা।
একান্ত বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের গ্লোব হলে ফটোসেশনে অংশ নেন তারা। এরপর চামেলি হলে দুই দেশের প্রতিনিধিদের নিয়ে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং কাতারের আমির শেখ তামিম।
দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের করবী হলে কাতারের আমির শেখ তামিম এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি চুক্তি ও পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হওয়ার কথা রয়েছে।
দ্বৈত কর পরিহার ও কর ফাঁকি সংক্রান্ত চুক্তি, আইনগত বিষয়ে সহযোগিতা চুক্তি, সাগর পথে পরিবহন সংক্রান্ত চুক্তি, পারস্পরিক উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি এবং যৌথ ব্যবসা পরিষদ গঠন সংক্রান্ত চুক্তি হবে দুই দেশের মধ্যে।
এছাড়া শ্রমশক্তি, বন্দর পরিচালনা, উচ্চশিক্ষা ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা খাতে সহযোগিতা, যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং কূটনৈতিক প্রশিক্ষণে সহযোগিতা বাড়াতে হবে সমঝোতা স্মারক।
দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার বিকেলে ঢাকায় পৌঁছান কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবউদ্দিন। বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয় কাতারের আমিরকে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে সরকার গঠনের পর মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশ থেকে এটিই প্রথম উচ্চপর্যায়ের রাষ্ট্রীয় সফর।
আর গত দুই দশকের মধ্যে কাতারের কোনো আমিরের বাংলাদেশে এটিই প্রথম সফর। সবশেষ ২০০৫ সালে কাতারের তখনকার আমির হামাদ বিন খলিফা আল থানি বাংলাদেশে এসেছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের দেওয়া মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন কাতারের আমির।
মিরপুরের কালশীতে বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী ফ্লাইওভার পর্যন্ত সড়কটি কাতারের আমিরের নামে নামকরণ করছে সরকার।
কথা ছিল মঙ্গলবার নিজে উপস্থিত থেকে এ দুই স্থাপনা উদ্বোধন করবেন শেখ তামিম। তবে ‘সময়ের অভাবে’ তার যাওয়া হচ্ছে না বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ জানিয়েছেন।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :