ঢাকা: নবম পে-স্কেলসহ ৬ দফা দাবিতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ১১-২০ গ্রেড সরকারি চাকরিজীবী ফোরাম। রোববার (৫ মে) বেলা ১১ টায় প্রথমে জনপ্রশাসন মন্ত্রী, অর্থ মন্ত্রী ও তথ্য প্রতিমন্ত্রীর মাধ্যমে এবং বিকেলে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
সংগঠনের সভাপতি মো. লুৎফর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এ স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ১১-২০ ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুর রাজ্জাক, সহ-সাধারণ সম্পাদক মো. আনিসুর রহমার, অর্থ সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, সহ-অর্থ সম্পাদক মো. শাহ আলম, ঢাকা মহানগরের যুগ্ন আহবায়ক মো. কেফায়েত হোসেন সোহাগ, ঢাকা বিভাগীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে স্মারকলিপিতে বলা হয়, ‘প্রথমেই স্মরণ করছি সর্বকালের
সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, মহান স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। যিনি
একটি শোষনহীন, বৈষম্যমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমাদের স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন, স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারি সকলবীর শহীদ ও সম্ভ্রম হারানো সকল মা বোনদের। আপনাকে অভিনন্দন জানাচ্ছি বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হিসাবে পূর্ণরায় সরকার গঠনের জন্য, আপনি সরকারি কর্মচারীদের জন্য অনেক কিছু করেছেন কিন্ত আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে ১১ থেকে ২০ গ্রেডের কর্মচারীরা এর সুফল থেকে বঞ্চিত।বাংলাদশ স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তোরণ ঘটেছে, বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশ্বের মধ্যে ৩৯ তম এবং ক্রয়ক্ষমতার ভিত্তিতে (পিপিপি) ২৯ তম যা দক্ষিণ এশিয়ায় ২য়, বাংলাদেশ গত এক দশক ধরে গড়ে ৬.৩ শতাংশ হার ধরে রেখে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বর্তমানে বিশ্বের ৭ম দ্রুত উন্নয়নশীল অর্থনীতি। আমাদের গড় আয় বেড়েছে কিন্তু আমরা ১১-২০ গ্রেডের সরকারি কর্মচারিরা দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধোগতি ও সেবা খাতের ব্যয় বৃদ্ধির কারণে মানবেতর জীবনযাপন করছি। দ্রব্যমূল্য কয়েকগুন বৃদ্ধি পেয়েছে ও সেবামূল্যও আকাশচুম্বি রুপ ধারণ করেছে। অথচ নিম্ন গ্রেডের কর্মচারিদের আয় বাড়েনি মোটেই, তাই চলমান জীবন বাস্তবতার নিরিখে প্রজাতন্ত্রের এ সকল নিম্ন বেতনভুক্ত কর্মচারীদের কতিপয় সমস্যাদি নিরসনে আপনার সরকারের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আপনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি এবং আমাদের ৬ দফা দাবী আপনার সামীপে তুলে ধরছি।’
১১-২০ ফোরামের ৬ দফা দাবিগুলো হলো-
১. পে-কমিশন গঠন পূর্বক বৈষম্য মুক্ত ৯ম পে-স্কেল ঘোষনার মাধ্যমে বেতন বৈষম্য নিরসনসহ বেতন স্কেলের পার্থক্য সমহারে নির্ধারণ ও গ্রেড সংখ্যা কমাতে হবে, পে-কমিশনে ১১-২০ গ্রেডের কর্মচারি প্রতিনিধি রাখতে হবে।
২. যে সকল কর্মচারি মূল বেতনের শেষ ধাপে পৌঁছে গেছে তাদের বার্ষিক বেতন বৃদ্ধি নিয়মিত করতে হবে।
৩. টাইম স্কেল, সিলেকশন গ্রেড, বেতন জ্যেষ্ঠতা পূণর্বহাল, ব্লক পোষ্ট নিয়মিত করনসহ সকল পদে পদোন্নতি বা ৫ বছর পর পর উচ্চতর গ্রেড প্রদান করতে হবে।
৪. বাজারমূল্যের উর্দ্ধগতি ও জীবন যাত্রার ব্যয় বৃদ্ধির সাথে সমন্বয় পূর্বক সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ
ও ১১-২০ গ্রেডের চাকুরিজীবীদের রেশন ব্যবস্থা প্রবর্তন অথবা ন্যায্য মূল্যে সরকারি ভাবে পন্য সরবরাহ করতে হবে।
৫. সকল সরকারি ও স্বায়ত্তসাশিত দপ্তর, অধিদপ্তরে কাজের ধরন অনুযায়ি পদনাম ও গ্রেড পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগবিধি প্রনয়ণ করতে হবে।
৬. সকল স্বায়ত্তসাশিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুয়িটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তন সহ বিদ্যমান গ্রাচুইটি/আনুতোষিকের হার ৯০% এর স্থলে ১০০% নির্ধারণ ও পেনশন গ্রাচুইটি ১ টাকার সমান ৫০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :