চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছেছেন জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া বাংলাদেশের ২৩ নাবিক। তাদের বহনকারী জাহাজ ‘এমভি জাহানমনি’ মঙ্গলবার (১৪ মে) বিকেলে ৩টা ৪৩ মিনিটে বন্দরে ভেড়ে।এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে জাহাজটি কুতুবদীয়া থেকে রওয়ান হয়।
বন্দরে পৌঁছানোর পর জেটিতে জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া নাবিকদের সংবর্ধনা দেয় বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসময় বন্দর কর্তৃপক্ষসহ নাবিকদের স্বজন এবং সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন সেখানে।নাবিকদের বরণ করতে ফুল হাতে জেটিতে এসেছিলেন স্বজনরা। জিম্মি হওয়ার ৬৩ দিন পর নাবিকদের কাছে পেয়ে আনন্দেন বুকে জড়িয়ে নেন স্বজনরা, কেঁদে ফেলেন অনেকে।
বন্দরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে নিজ নিজ পরিবারে ফিরবেন নাবিকরা।
জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়া জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ কুতুবদীয়ার পৌঁছানোর পর ২৩ নাবিককে তীরে পাঠাতে নাবিকদের অন্য একটি দল সোমবার রাতে জাহাজে উঠেছে। তাদের কাছে সকালে দায়িত্ব হস্তান্তর করে সেই ২৩ নাবিক ১২ টার দিকে চট্টগ্রামের দিকে রওয়ানা হন।
কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ২৮ এপ্রিল দুবাই থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে এমবি আব্দুল্লাহ। জাহাজটি কর্তমানে কুতুবদিয়া চ্যানেলে আছে। বিকল্প একটি টিম দেওয়া হয়েছে সেই জাহাজে। আর জাহাজে থাকা ২৩ নাবিক চট্টগ্রাম বন্দরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এনসিটি জেটিতে কিছু আনুষ্ঠানিকতা আছে। এরপর নাবিকরা যার যার ঘরে চলে যাবেন। জিম্মি হওয়ার ৬৩ দিন পর নাবিকরা আজ স্বজনদের দেখা পাবেন।
উল্লেখ্য, মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গত ১২ মার্চ সোমালিয়ার দস্যুরা ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ জিম্মি করে। ১৪ এপ্রিল ভোররাতে জাহাজটি জলদস্যু মুক্ত হয়।
এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের মুক্ত ২৩ নাবিক
জাহাজের মাস্টার মোহাম্মদ আবদুর রশিদ, চিফ অফিসার মো. আতিক উল্লাহ খান, সেকেন্ড অফিসার মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, থার্ড অফিসার এন মোহাম্মদ তারেকুল ইসলাম, ডেক ক্যাডেট মো. সাব্বির হোসাইন, চিফ ইঞ্জিনিয়ার এএসএম সাইদুজ্জামান, সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. তৌফিকুল ইসলাম, থার্ড ইঞ্জিনিয়ার মো. রোকন উদ্দিন, ফোর্থ ইঞ্জিনিয়ার তানভীর আহমেদ, ইঞ্জিন ক্যাডেট আইয়ুব খান, ইলেকট্রিশিয়ান ইব্রাহীম খলিল উল্লাহ, এবি পদের মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, মো. আসিফুর রহমান, মো. সাজ্জাদ হোসাইন, জয় মাহমুদ, ওএস পদের মো. নাজমুল হক, অয়েলার পদের আইনুল হক, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. আলী হোসেন, ফায়ারম্যান মোশাররফ হোসেন শাকিল, চিফ কুক মো. শফিকুল ইসলাম, জিএস পদের মোহাম্মদ নুর উদ্দিন ও ফিটার মোহাম্মদ সালেহ আহমদ।
আইএ
আপনার মতামত লিখুন :