ড. সাদিক

আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই চাকরি যায় আবেদের

  • সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ১০, ২০২৪, ০৯:৫৬ এএম
আমি চেয়ারম্যান হওয়ার আগেই চাকরি যায় আবেদের

সুনামগঞ্জ : মোহাম্মদ সাদিক বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনে (বিপিএসসি) চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগেই গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলীর চাকরিচ্যুতি হয়। এ কথা জানিয়ে সুনামগঞ্জ-৪ (সদর-বিশ্বম্ভরপুর) আসনের সংসদ সদস্য সাদিক দাবি করেছেন, তিনি কমিশনে দায়িত্ব পালনের সময় কোনো ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠেনি।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের এক মন্তব্যের পর এ কথা বলেন সাবেক পিএসসি চেয়ারম্যান।

সরকারি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে প্রতিবেদন প্রকাশের পর আবেদ আলীসহ ১৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আবেদ আলী বিপিএসসি চেয়ারম্যানের গাড়িচালক ছিলেন, কিন্তু এই পদে থেকেও তার বিত্ত বৈভব দেখে চমকে উঠেছে মানুষ।

সোমবার (৮ জুলাই) আবেদ আলী গ্রেপ্তারের পর সামাজিক মাধ্যমে কথা ছড়িয়ে পড়ে, তিনি মোহাম্মদ সাদিকের গাড়িচালক ছিলেন।

বিপিএসসির সাবেক চেয়ারম্যানদের প্রসঙ্গ তুলে ‘তারা দায় এড়াতে পারেন না’ বলে মন্তব্য করেন সরকারি দলের সংসদ সদস্য সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনও।

ড. মোহাম্মদ সাদিক বিপিএসসির চেয়ারম্যান হিসেব ২০১৬ সালের ২ মে থেকে ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর তিনি পিএসসির সদস্য হন।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক। সৈয়দ আবেদ আলী গ্রেপ্তারের পর প্রচার পায় যে, তিনি সাদিকের গাড়িচালক ছিলেন। তবে এই তথ্য সঠিক নয়।

বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক। সৈয়দ আবেদ আলী গ্রেপ্তারের পর প্রচার পায় যে, তিনি সাদিকের গাড়িচালক ছিলেন। তবে এই তথ্য সঠিক নয়।

যুক্তরাজ্য প্রবাসী কবি-সাহিত্যিকদের সংগঠন ‘সংহতি সাহিত্য পরিষদ’র আমন্ত্রণে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করা সাদিকে বলেন, ব্যারিস্টার সুমন আজ এ বিষয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা সঠিক নয়। আমি চেয়ারম্যান থাকার আগেই আবেদ আলী ড্রাইভারের চাকরি চলে গিয়েছিল। আমার ড্রাইভার ছিল না। আমি চেয়ারম্যান থাকাকালে গাড়িচালক ছিলেন আবু বকর নামের একজন।

আমি চেষ্টা করেছি, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের সম্মান ও আমার লাখ লাখ ছেলে মেয়ের প্রত্যাশা যাতে পূরণ হয়। আমার জ্ঞান ও বিশ্বাস মতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি। ৩৫ তম থেকে ৪০ তম বিসিএস এ চেয়ারম্যানের সময়ে হয়েছে। আমার সময়ে এসব প্রশ্ন উঠেনি।

প্রফেসর ড. এস, এম. এ. ফয়েজ
০১-০৩-১৯৯৩
০৫-০৩-১৯৯৮

প্রফেসর ড. মোঃ মুস্তফা চৌধুরী
২৫-০৩-১৯৯৮
২৩-০১-২০০২

প্রফেসর ড. জেড. এন. তাহমিদা বেগম
০৯-০৫-২০০২
০৭-০৫-২০০৭

ড. সাদাত হোসেন
০৯-০৫-২০০৭
২৩-১১-২০১১

এ. টি. আহমেদুল হক চৌধুরী
২৭-১১-২০১১
২০-১২-২০১৩

ইকরাম আহমেদ
২৪-১২-২০১৩
১৩-০৪-২০১৬

ড. মোহাম্মদ সাদিক
০২-০৫-২০১৬
১৮-০৯-২০২০

বিপিএসসির তথ্য বলছে আবেদ আলী ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর গাড়িচালক হিসেবে যোগ দেন। ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিলে নন-ক্যাডার তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার’ পদে লিখিত পরীক্ষায় লিখিত উত্তরপত্র সরবরাহ করার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয় এবং অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তিনি চাকরিচ্যুত হন।

চাকরিতে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষেত্রে অসৎ কাজের প্রমাণ পেলে খোদ নিজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন।

মঙ্গলবার (৯ জুলাই) তিনি বলেছেন, কোনো অসৎ কাজে যদি আমারও সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়, আমাকেও ফায়ার করুন। এটা নিশ্চিত করা হোক।

এমটিআই

Link copied!