মোবাইল কোর্ট ও টাস্কফোর্স-এর অভিযান বেড়েছে

  • রোকসানা পারভীন | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৩১, ২০২৪, ০৮:৫৬ পিএম
মোবাইল কোর্ট ও টাস্কফোর্স-এর অভিযান বেড়েছে

ঢাকা: আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিভাগ এবং মেট্রোপলিটন এলাকা থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী চলতি বছরের এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সংখ্যা ৮২৯টি বৃদ্ধি পেয়েছে। মে মাসে ৫ হাজার ২৬৬টি মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। এতে মামলা হয়েছে ১১ হাজার ৭৬০টি। মামলার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১ হাজার ১৮৮টি। যথাযথ প্রক্রিয়ায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি বিভাগীয় কমিশনারদের সমন্বয় সভায় এই নির্দেশনা দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো: মাহবুব হোসেন সভায় সভাপতিত্ব করেন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী মে মাসে চোরাচালন বিরোধী ৬৯৭টি টাস্কফোর্স অভিযান পরিচালনা করা হয়। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে টাস্কফোর্সের অভিযান ৬৩টি বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া গত ২০২৩ সালের মে মাসের তুলনায় ২০২৪ সালের মে মাসে জেলা টাস্কফোর্স কর্তৃক পরিচালিত চোরাচালান বিরোধী অভিযানের সংখ্যা ১৪৭টি বৃদ্ধি পেয়েছে। 

মাঠ পর্যায়ে কর্মরত বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তাধীন অভিযোগের বিষয়ে সভায় বলা হয়, প্রশাসন ক্যাডার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মে মাসে ২২টি অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং ৯টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।জানুয়ারি ২০২৪ থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত ৬৪টি অভিযোগ পাওয়া গেছে এবং এই সময়ে ৪১টি অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হয়েছে।

বর্তমানে ৭৬টি অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রাপ্ত অভিযোগের বিষয়ে এক মাসের ঊর্ধ্বে ঢাকা বিভাগে ৮টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ১টি, খুলনা বিভাগে ৭টি, মোট ১৬ টি অভিযোগ অনিষ্পন্ন রয়েছে। এসব অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তদন্ত প্রতিবেদন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রেরণ নিশ্চিত করার নির্দেশনা দেয়া হয়। এছাড়াও তিন মাসের ঊর্ধ্বে ঢাকা বিভাগে ৭টি, চট্টগ্রাম বিভাগে ৬টি করে, রাজশাহী বিভাগে ২টি, খুলনা ৪টি, বরিশাল বিভাগে ১৬টি, সিলেট বিভাগে ১টি, রংপুর বিভাগে ২টি করে, মোট ৩৮টি অভিযোগ অনিষ্পন্ন রয়েছে। তিন মাসের ঊর্ধ্বে অনিষ্পন্ন অভিযোগের প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দ্রুত প্রেরণের নির্দেশনা দেয়া হয়।

গণশুনানি সংক্রান্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় বলা হয়, মে মাসে সারাদেশে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়সমূহে মোট ২ হাজার ৭৯৫ দিন গণশুনানি গ্রহণ করা হয়েছে এবং গণশুনানি গ্রহণ করা হয়েছে এবং ২৮ হাজার ৫৩৮ জনের অভিযোগ/আবেদন নিস্পত্তি করা হয়েছে। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে সেবা প্রত্যাশির সংখ্যা ১ হাজার ৪৪৩ জন বৃদ্ধি পেয়েছে। অভিযোগ ১ হাজার ১৭৮টি কম নিষ্পত্তি হয়েছে। এপ্রিল মাসের তুলনায় মে মাসে গণশুনানি গ্রহণের সংখ্যা ১৯৩ টি বৃদ্ধি পেয়েছে।

সভায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত আলোচনা হয়। পেনশন স্কিমে গত এপ্রিল মাসে ৬৩ হাজার ৭৮১টি এবং মে মাসে ১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৭৮৮ জন রেজিস্ট্রেশন করেছে। এই সংখ্যা বৃদ্ধি করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ফৌজদারি কার্যবিধি-১৮৯৮ এর আওতায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ২০২২ সাল পর্যন্ত দায়েরকৃত মামলার তথ্য পর্যালোচনা সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, মে ২০২৪ মাসে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬৫১টি মামলা এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৬৩ টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর আওতায় ২০২২ সাল পর্যন্ত দায়েরকৃত বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সমূহে ৫ হাজার ১৪০ টি এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২ হাজার ৬৭৫টি মামলা অনিষ্পন্ন রয়েছে। এপ্রিল ২০২৪ মাসের তুলনায় বিবেচ্য মে মাসে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত অনিষ্পন্ন মামলা ৬৩৮টি এবং বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দায়েরকৃত অনিষ্পন্ন মামলা ৩৪৭টি হ্রাস পেয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য নির্দেশনা দেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত আলোচনায় বলা হয়, আলু পেয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজারমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়। এজন্য বাজার মনিটরিং বৃদ্ধি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও বিভাগীয় কমিশনারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত আলোচনায় আকস্মিকভাবে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় জিও ব্যাগ দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভাঙনরোধ করার মতো পর্যাপ্ত জিও ব্যাগ মজুদ আছে মর্মে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সভাকে অবহিত করেন। ভাঙ্গন সৃষ্টি হলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় জিও ব্যাগ দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভাঙ্গন রোধ করতে হবে।

এসআই/আইএ

Link copied!