ঢাকা : অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে চিকিৎসক রাখাসহ ৯ দফা দাবি দিয়েছে বৈষম্যবিরোধী স্বাস্থ্য আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানায় বৈষম্যবিরোধী স্বাস্থ্য আন্দোলন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছাত্র-জনতার নেতৃত্বে এক অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের অবসান ঘটেছে।
আমরা চিকিৎসক সমাজ আশা করি বিদ্যমান চিকিৎসা কাঠামোর উপর চেপে বসা ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থার প্রভাব মুক্ত হয়ে নতুন বাংলাদেশে এক নতুন জনমুখী ও চিকিৎসক বান্ধব চিকিৎসা কাঠামো গড়ে উঠবে। যেই কাঠামো বাংলাদেশের সকল জনগণের চিকিৎসা সেবার প্রকৃত অধিকার প্রদান করবে। এই আশাবাদ থেকে আমরা ‘বৈষম্যবিরোধী স্বাস্থ্য আন্দোলন’ নতুন গঠিত হতে যাওয়া সরকারের কাছে ৯ দফা দাবি পেশ করে।
একই সাথে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসাবে চিকিৎসক সমাজের পক্ষ থেকে সর্বজন শ্রদ্ধেয় তিনজন চিকিৎসকের নাম প্রস্তাব করছি। তারা হলেন- অধ্যাপক ডা. রশিদ-ই-মাহ্বুব, অধ্যাপক ডা. হারুন অর রশিদ, অধ্যাপক ডা. এম. আবু সাইদ।
৯ দফা দাবির মধ্য রয়েছে-
১. দলীয় লেজুড়বৃত্তির ফ্যাসিস্ট ধরনের পেশাজীবী সংগঠনের অবলুপ্তকরন।
২. জনগণের পক্ষে চিকিৎসকদের যেকোনো ব্যক্তিগত মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ।
৩. সরকারি স্বাস্থ্য সেবায় দলীয় প্রভাব ও দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগ-পদোন্নতি নিশ্চিতকরণ।
৪. সাধারণ জনগণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সুলভ মূল্যে ঔষধ প্রাপ্তি নিশ্চিতকরণ।
৫. দালাল মুক্ত হাসপাতাল।
৬. স্বাস্থ্য সেবাকে সুযোগ নয়, অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া।
৭. বেসরকারি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজে সমন্বিত চাকুরিবিধি ও বেতন কাঠামো প্রণয়ন করা।
৮. জাতীয় বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে পর্যাপ্ত বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ।
৯. ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আহত সকলের সু-চিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিতকরণ।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :