ঢাকা : জাতিকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে সঠিক পথের দিশা পাওয়ার প্রত্যাশার কথা বলেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আর প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, নতুন বছরে নতুন সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ‘নতুন শিখরে’ আরোহণে অঙ্গীকারাবদ্ধ।
বাংলাদেশের ইতিহাসের বাঁক বদলে দেওয়া ২০২৪ সাল বিদায় নিল মঙ্গলবার। এ বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের প্রশ্নবিদ্ধ শাসনের অবসান হয়েছে। পথ তৈরি হয়েছে রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের।
সেই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে ২০২৫ সালকে স্বাগত জানাবে বাংলাদেশ। আলাদা বাণীতে দেশবাসীকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তার বাণীতে বলেন, খ্রিষ্টীয় নববর্ষ উপলক্ষে আমি দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী সব বাংলাদেশিসহ বিশ্ববাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সময়ের চিরায়ত আবর্তনে খ্রিষ্টীয় নববর্ষ আমাদের মাঝে সমাগত। আমাদের ব্যবহারিক জীবনে এই বর্ষপঞ্জিকা বহুল ব্যবহৃত। খ্রিষ্টাব্দ তাই জাতীয় জীবনে এবং প্রাত্যহিক জীবনযাত্রায় অবিচ্ছেদ্য অনুষঙ্গ।
রাষ্ট্রপতি বলেন, জুলাই-অগাস্টের ছাত্র-শ্রমিক-জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী বর্তমান প্রেক্ষাপটে নতুন বছর আমাদের মাঝে বয়ে এনেছে এক নতুন সুযোগ ও সম্ভাবনা।
বিরাজমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা পরিস্থিতিতে আমি আশা করি, সচ্ছল সমাজ ও রাষ্ট্র দুস্থ, অসহায় ও পশ্চাৎপদ মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসবে। নববর্ষ উদযাপনে একজনের আনন্দ যেন অন্যদের বিষাদের কারণ না হয়, আমরা সেদিকেও খেয়াল রাখব।
তিনি বলেন, আমি আশা করি, নতুন বছরে আমরা দুর্নীতি ও বৈষম্যহীন একটি সমাজ, সাম্য ও ন্যায়ভিত্তিক মানবিক রাষ্ট্র, গণতান্ত্রিক ও কল্যাণমুখী এক নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে সঠিক পথের দিশা পাব। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের আত্মত্যাগ, আকাঙ্ক্ষা ও চেতনার পথ ধরে বাংলাদেশ অমিত সম্ভাবনার দিকে এগিয়ে যাক নতুন বছরে- এই প্রত্যাশা করি।
প্রধান উপদেষ্টা ইউনূস তার বাণীতে বলেন, নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার হোক। খ্রিষ্টীয় নতুন বছর সবার জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি।
নতুন বছর উপলক্ষে আমি দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে শুভেচ্ছা জানাই। নতুনের আগমনী বার্তা আমাদের উদ্বেলিত করে, নব উদ্যমে সুন্দর আগামীর পথচলার জন্য অনুপ্রেরণা যোগায়।
তিনি বলেন, নতুন বছরের এই মাহেন্দ্রক্ষণে সকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নতুন সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উন্নতির নতুন শিখরে আরোহণে অঙ্গীকারাবদ্ধ বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতা’ সর্বদা সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার জানিয়ে ইউনূস বলেন, আমরা দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব এবং যে কোনো সন্ত্রাসবাদ প্রতিহত করব।
এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :