ছবি : প্রতিনিধি
বরগুনা: অবৈধ ট্রলিং বোটের কারণে মাছ সংকটে ভুগছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার ‘বিএফডিসি মার্কেট। দেশের মৎস ক্ষাতের সিংহভাগ আয় আসে এখান থেকে। প্রতিদিনই বাড়ছে ট্রলার, বাড়ছে জেলের সংখ্যাও। এরই সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিষিদ্ধ ট্রলিং বোট। ফলে সাধারণ মাছ ধরার ট্রলার গুলো দেখা পাচ্ছে না কাঙ্খিত মাছের। সমুদ্রগামী জেলেরা জানিয়েছে, অন্যান্য বছর গুলোর তুলনায় এ বছর শীতের মৌসুমে মাছের উপস্থিতি একেবারে নেই বল্লেই চলে।এরকম চলতে থাকলে জেলেরা সর্বহারা হয়ে যাবে।
পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের দেওয়া তথ্য মতে, উপকূলীয় জেলেদের মাছ বিক্রি সহজ করতে ১৯৮১ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশের দ্বিতীয় এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে তৎকালীন সরকার। উপকূলীয় এই মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বর্তমানে মৎস পেশায় আড়ৎদার রয়েছেন প্রায় ৩ শতাধিক এবং পাইকার সংখ্যাও প্রায় ২ শতাধিকের ওপরে।
গত বছর শীতকালীন মৌসুমে যেখানে জমজমাট সময় পার করতেন আড়ৎদার ও পাইকাররা সেখানে অলস সময় পার করছেন সকলেই। বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধূরী বলেন, বরগুনা, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মাদারীপুর, বাগেরহাট, ঝালকাঠিসহ দেশের বিভিন্ন জেলার জেলেরা মাছ শিকার করে বিক্রি করতে আসেন এই ঘাটে। আগের তুলনায় দিন দিন ট্রলারের সংখ্যা বেড়েছে ৫ গুণ বেশি। সপ্তাহে গড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার মাছ বোঝাই ট্রলার আসে এখানে। ট্রলার বৃদ্ধি পেলেও সেই তুলনায় মাছ আসছে না। ইদানিং মাছ সংকটে পড়ায় সেই কোলাহল, সেই পরিবেশ চোখে পড়ছে না বল্লেই চলে। মাছের এই সংকট দুর করতে হলে অবৈধ জাল আর টলিং গুলোকে অতিদ্রুত বন্ধ করতে হবে।
মৎস আড়তদার ব্যবসায়ী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন খান হিরু বলেন, নিষিদ্ধ ট্রলিং বোটের চিকন ফাঁসের জালে বিভিন্ন প্রজাতির ছোট মাছ ধরা পড়ায় সাগরে মাছ সংকটে দেখা দিয়েছে। যার ফলে চলতি মৌসুমে সাগরে তেমন একটা মাছ ধরা পড়ছে না। এতে জেলে থেকে শুরু করে এই শিল্পে জড়িত সবাই লোকসানের মুখে। আমরা দ্রুত এই নিষিদ্ধ ট্রলিং বোট বন্ধ চাই।
বরগুনা জেলা মৎস কর্মকর্তা মোঃ মহসিন বলেন নিষিদ্ধ ট্রলিং বোট মালিকের কিছু অংশ তারা মাছ ধরার জন্য উচ্চ আদালত থেকে একটি রীট দায়ের করেছে। ফলে আইনের কারণ আমরা কিছু করতে পারছি না। তদুপরিও এই সকল ট্রলিং বোটে অবৈধ জাল ও মাছ রয়েছে কিনা তার জন্য অভিযান পরিচালনা করি। এছাড়া যেসকল মালিকরা রীট করে নাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রয়েছে। তবে এরা গোপন স্হান থেকে মাছ বেচা কেনা করায় আমরা তাদের ধরতে পারিনা শুধুমাত্র যানবাহন ও জলজ পরিবহন না থাকায়।
এম/এসআই
আপনার মতামত লিখুন :