পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং কিছু দরকারী আলাপ 

  • লাকী আক্তার | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৫:২২ পিএম
পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং কিছু দরকারী আলাপ 

ঢাকা: প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির সাথে শিক্ষণ কার্যক্রমে যথাযথ অবদান রাখতে শিক্ষক প্রশিক্ষণের কোন বিকল্প নেই। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য এ কাজটি যারা করে বা যে প্রতিষ্ঠান করে সেটি হল প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং সেন্টার বা সংক্ষেপে পিটিআই। 

পিটিআই সৃষ্টির ইতিহাস জানতে গিয়ে আমরা দেখি পিটিআই এবং পরীক্ষণ বিদ্যালয় সমসাময়িক কালে সৃষ্টি হয়েছে। এবং এ দুটো প্রতিষ্ঠান একে অপরের পরিপূরক। 

দেশের আদি শিক্ষাব্যবস্থার গুরুগৃহ, টোল, চতুষ্পাঠির প্রতিপক্ষ হিসেবে ব্রিটিশরা এদেশে নতুন শিক্ষাপদ্ধতি প্রসারে তৎপর হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ১৮৫৪ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ড অফ কন্ট্রোলের প্রেসিডেন্ট স্যার চার্লস উড ভারতের গভর্নর জেনারেল ডালহৌসী এর কাছে ভারতীয় উপমহাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নয়নের জন্য কিছু সুপারিশ করেন যাকে বলা হয় "উডের ডেসপ্যাচ "এবং এই সুপারিশ মতেই এদেশে গ্রেডেড পদ্ধতি চালু হয়। এই সুপারিশমালার দশ নম্বর পয়েন্টে উল্লেখ ছিল -সকল স্তরে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উপর জোর দিতে হবে এবং এই উদ্দেশ্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ স্কুল প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যার ফলশ্রুতিতে সমগ্র ভারত উপমহাদেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হুহু করে বেড়ে যায়। 

১৯০২ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য গুরু ট্রেইনিং স্কুল বা জিটি স্কুল চালু করা হয়। তখনকার সময়ে যারা  শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠ দান করতেন তাদের এখানে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা করা হয়। 

১৯৪৪ সালে এই জিটি স্কুল গুলোকে প্রাইমারি ট্রেনিং স্কুল বা পিটি স্কুল নামে রূপান্তরিত করা হয় । 

১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট তারিখে এ উপমহাদেশে স্বাধীন, গণতান্ত্রিক ও ইসলামী রাষ্ট্র হিসেবে পাকিস্তান সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে এ নবজাতক রাষ্ট্রের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক জীবনধারায় ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়। সঙ্গত কারণেই এদেশের জনগণের মধ্যে এই গভীর উপলব্ধি দেখা দিয়েছিল যে, ব্রিটিশ সরকার প্রবর্তিত ত্রুটিপূর্ণ ও ভারসাম্যহীন শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে এবং একে সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ ও সময় উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। জনগণের অনুভূতির প্রতি অনুকূল সারা দিতে গিয়ে সরকার জনগণের শিক্ষা সমস্যাগুলোকে ব্যাপকভাবে পর্যালোচনা করে এর জন্য ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন কমিটির উপর দায়িত্ব অর্পণ করেন। এই কমিটির নাম ছিল "পূর্ববঙ্গ শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠন কমিটি"।এই কমিটির প্রধান ছিলেন প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও সাংবাদিক আকরাম খান। এজন্য অনেকেই এই কমিটিকে আকরাম খাঁ শিক্ষা কমিটিও বলে থাকেন। এই কমিটি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের শিক্ষা পুনর্গঠন এর কিছু সুচিন্তিত সুপারিশ মালা পেশ করেন। এইসব সুপারিশ প্রাক-প্রাথমিক, মাদ্রাসা, নারী সংখ্যালঘু, শিক্ষা ও পরীক্ষা পদ্ধতিকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছিল। এ সুপারিশসমূহের আলোকে এই অঞ্চলের শিক্ষার বিভিন্ন স্তরে উদ্ভুত সমস্যা সমাধানের প্রচেষ্টার কাজ শুরু হয়। 

১৯৪৯ সালে পূর্ববঙ্গ শিক্ষা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী এই জিটি স্কুল ও পিটি স্কুল গুলোকে আধুনিকায়ন করা হয়। জিটি স্কুল ও পি টি স্কুল গুলোকে পর্যায়ক্রমে প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এবং পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সারাদেশে ৬৭টি পিটিআই এবং ৬৫টি পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে রয়েছে।

১৯৯৬ সাল পর্যন্ত পিটিআই ইন্সট্রাক্টর এবং পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সমগ্রেড, সমমর্যাদা এবং সমান সুযোগ সুবিধা পেতেন। উভয়েই দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা পদে নিয়োজিত ছিলেন। ইন্সট্রাক্টরগণ পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে নিয়মিত ক্লাস নিতেন। 

১৯৯৬ সালে পিটিআই ইন্সট্রাক্টরদেরকে প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবে উন্নীত করা হয়। আর পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তা হিসেবেই রয়ে যান। 

পরীক্ষণ বিদ্যালয় এর শিক্ষকগণ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশন বাংলাদেশ বা বিপিএসসি কর্তৃক নন-ক্যাডার গেজেটেড কর্মকর্তা (টেকনিক্যাল) পদে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়ে যোগদান করেন। 

পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে আবেদনের সময় যোগ্যতা হিসেবে চাওয়া হয় অনার্স বা মাস্টার্স পাশের পাশাপাশি আবশ্যিকভাবে শিক্ষা বিষয়ে বিশেষায়িত ডিগ্রি যেমন বিএড/সিইনএড/ডিপিএড।
তাদের ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় যেখানে ৪০ নম্বর থাকে টেকনিক্যাল বিষয়ে বা বিশেষায়িত ডিগ্রির উপরে, ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষার ৮০ নম্বর থাকে টেকনিক্যাল বিষয়ে বা বিশেষায়িত ডিগ্রির উপরে এবং ৫০ নম্বরের ভাইভা দিয়ে উত্তীর্ণ হতে হয়। 

এখানে নারী কোটা ৬০ শতাংশ পোষ্যকোটা ২০ শতাংশ বা জেলা কোটা তথা কোন ধরনের কোটা নাই। সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ। যার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেন বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান পিএসসি। তাঁদের সুপারিশ পরবর্তী ৩ বা ততোধিক স্তরের ভেরিফিকেশন ও রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ গোয়েন্দাসংস্হার সূক্ষ্ম যাচাই-বাছাই অন্তে চূড়ান্তভাবে যোগদানের জন্য রাষ্ট্রপতির অনুমোদিত ব্যক্তির স্বাক্ষরে গেজেট প্রকাশিত হয়।

"পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক" পদটি সৃষ্টি থেকেই দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার পদ। ২০১৫ সালের বর্তমান গ্রেডিং সিস্টেমে এটি দশম গ্রেড নন-ক্যাডার গেজেটেড পদ। ২০২৪ সালের ৭ জুলাই সারাদেশের ৬৫টি পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে যোগদান কৃত পরীক্ষণ বিদ্যালয় এর শিক্ষকদের নন-ক্যাডার গেজেটেড অফিসার (টেকনিক্যাল) হিসেবে গেজেট হয় ২৫ জুলাই ২০২৪। 
১৯৯৬ সালের ২৩ বছর পর ২০১৯ সালে পরীক্ষণ বিদ্যালয় এর শিক্ষক পদে সার্কুলার হয় এবং সকল কার্যক্রম (প্রিলিমিনারি লিখিত এবং ভাইভা) শেষে ৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে দীর্ঘ ২৮ বছরের স্থবিরতা কাটিয়ে পরীক্ষণ বিদ্যালয় তার স্থায়ী শিক্ষক পায়। এদিন গোটা বাংলাদেশে প্রায় ২৭০ জন শিক্ষক বিভিন্ন প্রশিক্ষণ বিদ্যালয় বা ল্যাবরেটরি স্কুলগুলোতে যোগদান করেন। 

পরীক্ষণ বিদ্যালয় প্রতিটি জেলাশহরে অবস্থিত একমাত্র বিদ্যালয়, যা একটি ল্যাবরেটরি স্কুল। জিটি স্কুল গুলোকে যখন পরীক্ষণ বিদ্যালয় রূপান্তরিত করা হয় তখন এর লক্ষ্যই ছিল, পিটি স্কুল বা পিটিআই বা প্রাইমারি টিচার্স ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এ শিক্ষকগণ প্রশিক্ষণ নিয়ে পরীক্ষণ বিদ্যালয় প্রয়োগ করবেন এবং পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও পিটিআইয়ের প্রশিক্ষকবৃন্দ মনিটর করবেন। প্রাথমিক শিক্ষার বিভিন্ন গবেষণা হতে প্রাপ্ত তত্ত্ব বা তাত্ত্বিক বিষয়গুলো পরীক্ষণ বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপরে সবার প্রথমে এক্সপেরিমেন্ট করা হবে এবং সেই ফলাফলের উপর নির্ভর করে দেশে অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে সেটি চালু হয়। 

বর্তমানে যাঁরা পরীক্ষণ বিদ্যালয়-এর সুনাম নষ্ট করার জন্য এবং পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রচার করার প্রাণপন প্রচেষ্টা করছেন, তাঁদেরকে উপরের ইতিহাসটা একটু জানার অনুরোধ করছি। 

আমরা পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সমাজ কোনভাবেই আপনাদের প্রতিপক্ষ ভাবিনি, ভাবছি না, ভাববোও না। 
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দশম গ্রেড সরকার দিলে আমাদের কোন সমস্যা নেই বরং আমরা একে সাধুবাদ জানাই।

বলা হয়ে থাকে যে সকল শিক্ষার আঁতুরঘর হলো প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক শিক্ষার আঁতুর ঘর হল পরীক্ষণ বিদ্যালয়। সে কারণে পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো গঠনগত দিক থেকে একেবারেই আলাদা এবং শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া আলাদা। তাই পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর তুলনা চলে না। 

নিচে পিটিআই সংলগ্ন পরীক্ষণ বিদ্যালয় এবং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বেসিক পার্থক্য গুলো দেয়া হলোঃ

চাকরিতে প্রবেশকালীন -

১।পরীক্ষণ বিদ্যালয়ঃ শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক এবং শিক্ষা বিষয়ে বিশেষায়িত ডিগ্রি (বিএড/ডিপিএড /সিইনএড)।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ স্নাতক;

২।পরীক্ষা পদ্ধতি-
পরীক্ষণ বিদ্যালয়ঃ ১০০ নম্বরের প্রিলিমিনারি (৪০ নম্বর  প্রফেশনাল ডিগ্রী থেকে থাকে), ২০০ নম্বরের লিখিত (৮০ নম্বর থাকে প্রফেশনাল ডিগ্রি থেকে) এবং ৫০ নম্বরের ভাইভা। মোট ৩৫০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়া হয়। 
সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ ৭৫ নম্বরের এমসিকিউ এবং ২৫ নম্বরের ভাইভা। মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা দেয়া হয়; 

৩। বেতন গ্রেড-
 পরীক্ষণ বিদ্যালয়ঃ এই পদের সৃষ্টি থেকে এটি দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড কর্মকর্তার পদ।নিম্ন পদ থেকে উন্নীত হয়ে উচ্চতর পদে এটি যায়নি। ২০১৫ সালের গ্রেডিং পদ্ধতিতে এটি বর্তমানে দশম গ্রেডের নন ক্যাডার (প্রফেশনাল) গেজেটেড কর্মকর্তা পদ.।
 সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ নিম্নধাপ থেকে পর্যায়ক্রমে উন্নীত হয়ে বর্তমানে ১৩ তম গ্রেড;

৪। নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ -
পরীক্ষণ বিদ্যালয়ঃ রাষ্ট্রপতি। 
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার 

৫।ডিডিও-
পরীক্ষণঃ পিটিআই সুপারেনটেনডেন্ট ( ষষ্ঠ গ্রেড)। 
প্রাথমিকঃ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (নবম গ্রেড);

৬। কর্মস্থলের অবস্থান-
পরীক্ষণ বিদ্যালয়ঃ বাংলাদেশের যে কোন জেলা শহরে। 
প্রাথমিকঃ নিজ উপজেলায়;

৭। বিদ্যালয়ের ধরন-
পরীক্ষণ বিদ্যালয়ঃ বিশেষায়িত প্রতিষ্ঠান। গবেষণা ও পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়। এটা একটি ল্যাবরেটরী স্কুল। 
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়: সাধারণ;

৮। পরীক্ষা গ্রহণ কারী কর্তৃপক্ষ -
পরীক্ষণ বিদ্যালয়ঃ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বা বিপিএসসি। 
প্রাথমিকঃ প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়;

৯। বিশেষায়িত ডিগ্রী বা প্রশিক্ষণ-
পরীক্ষণ বিদ্যালয়ঃ চাকুরিতে প্রবেশের আগে। 
প্রাথমিক বিদ্যালয়ঃ চাকরিতে প্রবেশের পরে। 

বাংলাদেশ একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। আজ জাতীয় জীবনে প্রাণ প্রাচুর্যের প্রয়োজন। প্রয়োজন জনসাধারণের অর্থ সামাজিক অবস্থা উন্নয়নের। আমাদের বর্তমান অবস্থা থাকারই নামান্তর, বেঁচে থাকার জন্য নয়। অনেক ত্যাগ ও তিতিক্ষার বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে জনগণের জীবনে অর্থবহ করে তুলতে হলে সংস্কার ও পরিবর্তনের  প্রয়োজন। বঞ্চিত এ পরিবর্তন বা সংস্কার কেবলমাত্র শিক্ষা ব্যবস্থার পুনর্গঠন এর মাধ্যমেই আসতে পারে। শিক্ষকদের সম্মান বৃদ্ধি ও মর্যাদা বৃদ্ধি ছাড়া কখনোই শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন করা সম্ভব নয়। মোদ্দা কথা হল শিক্ষকদের উন্নয়ন ছাড়া কখনোই শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হবে না। তাই প্রস্তাবিত সংস্কার পরিকল্পনা অনুযায়ী পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সম্মান ও মর্যাদা বৃদ্ধির পাশাপাশি উন্নয়নের বেতন গ্রেড হতে এক ধাপ বাড়িয়ে করে নবম গ্রেডে উন্নীত করা হোক। 

লেখক: পরীক্ষণ বিদ্যালয়ের শিক্ষক, পিটিআই ঠাকুরগাঁও।

আইএ

Link copied!