ঢাকা : যারা অতীতে ভোট কারচুপি, ভোট চুরি, নিশি রাতে ভোট, তত্বাবধায়ক প্রথা উচ্ছেদ, প্রেসিডেন্ট নিজেই তত্ত্বাবধায়ক বনে যাওয়া, মিডিয়া 'কু' ইত্যাদি অপরাধ গুলো করেছেন তারা কোন নৈতিকতার বলে জনগণের সামনে দ্রুত ভোটের কথা বলছেন ?
'হাওয়া ভবন' কি মানুষ ভুলে গেছে ? হরকাতুল জিহাদ, বাংলাভাই, একুশে আগষ্ট কি ইতিহাস থেকে হারিয়ে গেছে ? কোর্ট কাচারির অবস্থা তথৈবচ ?
এরকম সীমাহীন অচলাবস্থায় নির্বাচনের কি আদৌ কোনো পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে ?
ক্ষমতায় গেলে করা যায়, কেন ক্ষমতার বাইরে থেকে এসব ঠেকানোর চেষ্টা করেন ? অসুবিধা টা কোথায় জনগণকে খোলাসা করে বলুন। দশটা হোন্ডা আর বিশটা গুন্ডা ইলেকশন ঠান্ডা। এই নির্বাচন জনগণ জানে দেখেছে। তাই আর এসব দখতে চায় না।
‘ইন্ডিয়ান সেনাচিফ নির্বাচিত সরকার আসলে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে’ এসব বলে উস্কানি দেয়ার চেষ্টা করছে।
মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে বলছি, অনুরাগ বিরাগ ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে উঠে আইন পরিপালনে আপনি সর্বোচ্চ কঠোর হন। আমলা গামলা এমপি মন্ত্রীদের কথা শুনবেন কিন্ত বেআইনী কারো কথা মানবেন না। যারা দখলদারিতে নেমেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যাবস্থা নিন।
পুলিশ, বিচারক, সব বিভাগের নির্বাহী কর্মকর্তাদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসুন।
‘হায়ার্ড এন্ড ফায়ার্ড সিস্টেম’ চালু করুন যা খুশি তা চলবে না।
কোন রকম ক্যাডারবাজি, তদবিরবাজি দখলবাজি, চাঁদাবাজি কঠোর হস্তে দমন করুন। যারা স্বাধীনতা স্বার্বভৌমত্ব রক্ষার কথা বলে কোনায় দাঁড়িয়ে আছে, অনেক অপতৎপরতায় ইতোমধ্যে তারাও লিপ্ত হয়েছেন মর্মে সোসাল মিডিয়ায় গুঞ্জন আছে, তারা এই সময়ে সংস্কারে সহযোগিতা না করলে করবে কখন ?
তাদের মনেরাখা উচিৎ জনগণের করের টাকায় তাদের রুটি রুজি সংসার চলে। ওখানে বসে থেকে লাভ নেই। এক্ষুনি ঝাঁপিয়ে পড়ুন। সীমান্ত রক্ষিত রাখুন। দেশ গঠনে মানুষের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আইনশৃঙ্খলা ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখুন। আপনাদের গৌরবোজ্জ্বল অতীত ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন।
বাংলাদেশে একটিই তো মাত্র ইনষ্টিটিউ। এটি নিভে গেলে আর তো কিছুই থাকবেনা। চারদিকে শুধু অন্ধকার আর অন্ধকার। দেশ হবে সিকিম। বাবুদের পদলেহন করে বেঁচে থাকার চেয়ে মৃত্যু শ্রেয়।
যারা ইউনুস সরকারকে ব্যার্থ বলার চেষ্টা করছেন তাদের মানুষ ভালোভাবে চিনে। ওদেরকে মানুষ বলে নিজের চেহেরার দিকে তাকান তাহলেই চুপ হয়ে যাবেন। রাজনীতির মাঠে কতজনে কতবার ডিগবাজি খেয়েছেন তা মানুষ জানে। আবার লম্বা লম্বা কথা বলে। তবে গঠনমূলক সমালোচনা অবশ্যই সাধুবাদযোগ্য।
একটা অন্ধকার যুগের অবসান হয়েছে। হাজার হাজার তরুন তরুনী ছাত্র জনতাকে মাত্র কয়েকদিনে রক্ত দিতে হয়েছে, মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে, চোখ হারাতে হয়েছে পঙ্গু হয়েছে, এখনো অনেকে শয্যায় কাঁতরাচ্ছে, এই অসুস্থ্যদের চিকিৎসা, পূনর্বাসন এসব নিয়ে যতটা সোচ্চার হওয়া দরকার তার লেশমাত্র নেই।
অন্যদিকে হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার আচার নিয়ে রাজনৈতিকদলগুলোর মধ্যে নানারকম কথা চালাচালি মতো দ্বৈততা ও কাঁদা ছুড়াছুড়ি।
যেভাবে প্রতিষ্ঠানগুলোতে ধস নেমেছে যোগ্য, সৎ, দক্ষ জনবল খুঁজে পাওয়া দুঃষ্কর।
অধিকন্তু, পালিয়ে যাওয়া রাজনীতিবিদ, ব্যাবসায়ী, সুবিধাভোগীরা দূরে থেকে বিপুল বিনিয়োগ করছে সন্ত্রাসী, সোসাল মিডিয়া ও লবিশ্ট নিয়োগে। এতো কিছুর পর দেশ প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা উন্নত হচ্ছে এবং দ্রব্যমূল্য ধীরে ধীরে কমে আসছে।
দেশে ঘটে যাওয়া এই বিপ্লবের সুকান্তের ভাষায় যদি বলি ‘প্রসব বেদনা’ জাতিকে কিছুটা বহন করতে হবে, ধৈর্য্য ধরতে হবে এবং উন্নত কিছু পেতে গেলে যথোপযুক্ত সময় দিতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়
আপনি চেষ্টা করছেন করুন, করতে থাকুন হাল ছাড়বেন না। ইনশাআল্লাহ সফলতা আসবেই। সমস্ত জাতি আপনার সাথে এক্যবদ্ধ।
লেখখ :সাবেক কর কমিশনার ও আহবায়ক, কাঙ্খিত বাংলাদেশ
এমটিআই
*** প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব ভাবনার প্রতিফলন। সোনালীনিউজ-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে লেখকের এই মতামতের অমিল থাকাটা স্বাভাবিক। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য সোনালীনিউজ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না। এর দায় সম্পূর্ণই লেখকের।
আপনার মতামত লিখুন :