খুলনা: অন্তরবর্তীকালীন সরকারকে উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘পরিবর্তন আছে, সংস্কার আছে, সবকিছুর সাথে এক মত। কিন্তু একটি জনগণের নির্বাচিত পার্লামেন্ট ছাড়া সংবিধানের কোন কিছু পরিবর্তন করা যায় না।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে খুলনা মহানগর বিএনপি আয়োজিত নগরীর শিববাড়ি মোড়ে র্যালিপূর্ব সমাবেশ প্রধন অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, আমরা এই সরকারকে সহযোগিতা করবো; সেটা একটা যুক্তিক সময় পর্যন্ত। তাই একটা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারকে লাল গোলাপ শুভেচ্ছা দিয়ে বিদায় দিতে চাই, অন্যকোন পথে হোক এটা আমরা আশা করি না। তাই আপনারা একটি নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যান।
নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছে। আর ৫ আগস্ট আমরা স্বৈরাচার মুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেছি। তাই এই অর্জন আমাদের ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা কথা একটু কম বলেন, কিন্তু তার আশেপাশে কয়েকজন আছেন যারা জনগণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেন।
এসময় তিনি ৭ নভেম্বরের গুরুত্ব ও তাৎপর্য ব্যখ্যা করে বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান দেশে এক দলীয় বাকশাল কায়েম করেছিলেন। এরপর তিনি মারা যাওয়ার পর দেশের মানুষ একটি বিপ্লবের মাধ্যমে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন। যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, গবেষণা সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, স্থায়ী কমিটির সদস্য শেখ মুজিবর রহমানসহ অনেকে। সভা পরিচালনা করেন খুলনা নগর কমিটির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
এসময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন। পরে শোভাযাত্রাটি শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে ময়লাপোতা, সাতরাস্তার মোড়, রয়েলচত্ত্বর হয়ে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসএস
আপনার মতামত লিখুন :