ঢাকা : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) থাকাকালে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ঠিকমতো চিকিৎসা হয়নি এবং নিয়মিত চিকিৎসকেরা যেতেন না। সেখানে অনিয়মের কারণে এখন তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়েছে।
এমনই অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া। বিভিন্ন সূত্রে এসব তথ্য জেনেছেন বলে জানান তিনি।
শনিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দেখতে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া ও সদস্যসচিব নুরুল হক নুরসহ দলটির নেতারা।
তারা হাসপাতালে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তারা রাজনীতির বাইরে গিয়ে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে উন্নত চিকিৎসা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান। তারা সেখানে এক ঘণ্টার মতো ছিলেন।
রেজা কিবরিয়া বলেন, খালেদা জিয়া করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) আছেন। তাকে দেখা সম্ভব হয়নি। তবে তার চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছে।
খালেদা জিয়ার বর্তমান শারীরিক অবস্থা বোঝার জন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার বিষয়টি রাজনৈতিক নয়, মেডিকেলের। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে সরকারের উচিত পদক্ষেপ নেওয়া। দেশের ভাবমূর্তির জন্য হলেও একজন বয়স্ক নারী হিসেবে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়া উচিত। সরকার এ বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এ সময় নুর বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার খোঁজ-খবর নিতে আমরা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের সঙ্গে প্রায় এক ঘণ্টা আলাপ-আলোচনা করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন, কারাগারে থাকা অবস্থায় খালেদা জিয়ার চিকিৎসার অনিয়ম হয়েছে। যে কারণে তার শারীরিক জটিলতা আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। বর্তমানে তিনি খুব খারাপ অবস্থার মধ্যে আছেন।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে নুর বলেন, একটা রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে সরকারের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে, প্রতিহিংসা থেকে যেন একজন মানুষকে চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত না করি। আইনের ঊর্ধ্বে উঠে মানবিকতার বিবেচনায় বেগম জিয়াকে দেশের বাইরে সুচিকিৎসার সুযোগ দেন প্রধানমন্ত্রী।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :