ঢাকা : বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তুলতে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। শিগগিরই চূড়ান্ত রূপরেখা জাতির সামনে তুলে ধরা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
গতকাল সোমবার বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত হয়। স্থায়ী কমিটির গতকালের বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য আজকের সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়।
যুগপৎ আন্দোলনের জন্য সকল রাজনীতি দলকে আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এই আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভবিষ্যতে কী হবে সেটা নির্ধারিত হবে।
বিএনপি মহসচিব বলেন, আমরা পরিষ্কার করে বলেছি যেকোনো রাজনৈতিক দল, ব্যক্তি, সংগঠন যারা এই কর্তৃত্ববাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্র পূর্ণ উদ্ধারের জন্য, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য আন্দোলন করবে তাদের সকলের সঙ্গে আমরা যুগপৎ আন্দোলন করব।
মির্জা ফখরুল বলেন, অত্যাচার নির্যাতন করে জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে কোনো সরকারই বেশিদিন টিকে থাকতে পারেনি। ভোলায় আব্দুর রহিম ও নুরে আলমকে হত্যার পর এবার কিন্তু মানুষ বেরিয়ে আসছে। তারপরেও তারা কিন্তু হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সহিংসতা বন্ধ করার জন্য একটি মাত্র পথ সেটা হলো নির্বাচনকালীন একটি নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যবস্থাকে আবার চালু করা।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বলছি যে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। একটি সুষ্ঠু অবাধ গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। এই সংসদ বাতিল করতে হবে এবং একটি নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তাদের অধীনে আরেকটি নির্বাচন কমিশন গঠন হবে সব দলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে একটি নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে যাতে মানুষ ভোট দিতে পারে।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সরকার যে ভূমিকা নেয় তার ওপর পুলিশের কাজ করতে হয়। পুলিশ প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠান, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠান। তার যে মৌলিক দায়িত্বগুলো রয়েছে সেটা হচ্ছে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা। নাশকতা বন্ধ করা। কিন্তু আপনার লক্ষ্য করে দেখবেন বাংলাদেশের পুলিশের কাজ একটি হয়ে দাঁড়িয়েছে সেটা হচ্ছে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করা।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :