১৬ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচি ঘোষণা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৩:৫৫ পিএম
১৬ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচি ঘোষণা

ঢাকা : রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে প্রতিবাদী গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ।

যুগপৎ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বুধবার (১১ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা এ গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করে।

এ সময় তারা বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ১৬ জানুয়ারি বেলা ১১টায় বিআরসি ভবনের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাউয়ুমের সভাপতিত্বে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম বাবলু, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খানসহ গণতন্ত্র মঞ্চের বিভিন্ন নেতাকর্মী।

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আজকে বাংলাদেশে ভোটের অধিকার নেই। তবে সরকার মাঝেমধ্যে ভোটের নাটক করে। কিছু দিন আগে রংপুর নির্বাচন হলো। যখন গাইবান্ধায় নির্বাচন হলো ওনারা (আওয়ামী লীগ) ইভিএম নিয়ে পরীক্ষা চালাতে গিয়েছিল। ইভিএম নিয়ে ভোট ডাকাতি করে কীভাবে দেখানো যায় যে ওনারা ভালো ভোট করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত ধরা পড়ে গেছে যে প্রায় ৪০টির ওপরে কেন্দ্রে তারা নিজেরাই ইভিএমে ভোট দিয়ে দিচ্ছে। নানাভাবে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করে ভোটরদের অসুবিধা সৃষ্টি করছেন। অর্থাৎ দিনের বেলার ভোটডাকাতির যে রিহার্সেল তারা করতে চেয়েছিলেন তা ধরা পড়ে গেছে।

সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের নামে সরকার নাটক করছে বলে মন্তব্য করেন জোনায়েদ সাকি। তিনি বলেন, কিছু দিন আগে রংপুর নির্বাচন হলো। এই নির্বাচনে সরকার যদি একই রকম কাজ করতে চান, তা হলে তো বিদেশিরা নাখোশ হবে। একই সঙ্গে জনগণকে বিভ্রান্ত করে ধোঁয়াশা দিতে পারবেন না। ফলে তারা একটা সুষ্ঠু নির্বাচন করার চেষ্টা করেছেন। এ ধরনের নির্বাচনকে কি জনগণের ভোটাধিকার বলে। সরকার এর মাধ্যমে নাটক করছে। মানুষকে দেখাতে চান তাদের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। দুই-একটি ভোট এমন আয়োজন করে মানুষকে দেখাবেন এবং বিদেশিদের বোঝাবেন যে আমাদের (আওয়ামী লীগ) অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন হয়। কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রয়োজন নেই। এ রকম আরও এক-দুটি নির্বাচন তারা আরও করতে পারে। এগুলোকে ভোটাধিকার বলে না। এগুলো হচ্ছে— মানুষের ভোটের মর্যাদা নিয়ে তামাশা করা।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Link copied!