ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত আছে: কাদের

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুলাই ৯, ২০২৩, ০২:৫৩ পিএম
ইসরায়েলের সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত আছে: কাদের

ফাইল ছবি

ঢাকা: ইসরায়েল ও তার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, বিএনপির এক সিনিয়র নেতার সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এ ধরনের দেশবিরোধী অপতৎপরতার সঙ্গে বিএনপি সর্বদা জড়িত থাকে। 

রোববার (৯ জুলাই) এক বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইসরায়েল ও তার গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে বিএনপির গোপন আঁতাত রয়েছে। বিএনপির এক সিনিয়র নেতার সঙ্গে ইসরায়েলি গোয়েন্দা সংস্থার বৈঠক গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছিল। এ ধরনের দেশবিরোধী অপতৎপরতার সঙ্গে বিএনপি সর্বদা জড়িত থাকে। অন্যদিকে ফিলিস্তিনের জনগণের মুক্তি আন্দোলনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সোচ্চার ছিলেন এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাও ফিলিস্তিনের জনগণের আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সোচ্চার রয়েছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী উদযাপনে ফিলিস্তিনের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াসির আরাফাতকে শেখ হাসিনা আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিভ্রান্তি সৃষ্টির জন্য ইসরায়েলি প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিরোধী দলের নেতাদের ফোন হ্যাক করার কাল্পনিক বক্তব্য দিয়েছেন। একজন রাজনৈতিক নেতার এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্য অত্যন্ত লজ্জাকর।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ফোন হ্যাকের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি। কার কার ফোন হ্যাক করা হয়েছে? তথ্য-প্রমাণসহ তা উল্লেখ না করেই এ রকম একটি স্পর্শকাতর বিষয়ে ঢালাও মন্তব্য করা বেআইনি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মনগড়া এই বক্তব্য তাদের চলমান অপপ্রচার ও গুজব-সন্ত্রাসের ধারাবাহিকতা। ভুয়া ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে দেশের জনগণ ও বিদেশিদের প্রভাবিত করার জন্য মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীররা ষড়যন্ত্রমূলক এই অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। আমি আহ্বান জানাবো, জল ঘোলা করার জন্য জনগণকে বিভ্রান্ত করতে এভাবে অন্ধকারে ঢিল ছুড়বেন না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি সকল সংস্থা সুনির্দিষ্ট আইন দ্বারা পরিচালিত হয়। সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে আওয়ামী লীগ সরকারের সাহসী ও বলিষ্ঠ ভূমিকা দেশে এবং বিদেশে প্রশংসিত হয়েছে। দেশবিরোধী নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সরকারি সংস্থাগুলো সর্বদা তৎপর রয়েছে। সরকার সংবিধান অনুযায়ী সকল নাগরিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

সোনালীনিউজ/আইএ

Link copied!